মহামারী করোনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে একই দিনে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত হয়েছে। মৃত দুই ভাইয়ের নাম আবুল কালাম (৫৫) ও আবুল কাসেম (৫০)। আজ (৩-জুন) রাত ৩টায় ওমানের রয়্যাল হাসপাতালে আবুল কাশেমের মৃত হয় এবং আনুমানিক স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে খোলা হাসপাতালে অপর ভাই আবুল কালামের মৃত হয়েছে বলে প্রবাস টাইমকে জানিয়েছেন প্রবাসী ইকবাল হোসেন।
ঈদের দুইদিন আগে তারা দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহ যাবত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান ইকবাল হোসেন। মৃতদের দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান থানার ফইল্লাতলী হাটের চিকদার গ্রামে। দুইভাই গত ৩০ বছর যাবত ওমানে বসবাস করে আসছিলেন।
মৃত আবুল কালাম মাস্কাটের নিকটবর্তী সহর আল আমরাতের পূরাতন সানাইয়া ঘোড়ার দোয়ার রাউন্ডবোর্ডের পাশে নিজের তাবুক (ইট) ফ্যাক্টরি ছিলো। অপর ভাই আবুল কাসেম ওমানে পিকআপ ভ্যান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতো বলে জানান ইকবাল।
দুই ভাইয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওমানে। একইসাথে তার পরিবার সহ গোটা চিকদার গ্রামে চলছে শোকের মাতম। করোনায় মৃতদের ওমান সরকারের আইন অনুযায়ী দেশে মরদেহ আনার সুযোগ না থাকায় দুই ভাইয়ের মরদেহ ওমানেই দাফন করা হবে। শেষ বারের মতো প্রিয়জনের মুখটি না দেখতে পেরে শোকে মুষড়ে পড়েন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে বুধবার (২-জুন) রাতে দেশে এসেছে ১৮ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ। গেলো প্রায় দেড় মাসে তারা মারা গেছেন বিভিন্ন দেশে। রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে সৌদি আরব, কাতার ও মালয়েশিয়া থেকে এসব মরদেহ এসে পৌঁছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
১৮ মরদেহের মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ১৩, সৌদি আরব থেকে ২ ও কাতার থেকে বাকি ৩টি মরদেহ আসে। সন্ধ্যা থেকেই স্বজনরা ভিড় করেন বিমানবন্দরের আট নম্বর টার্মিনাল এলাকায়। তারা জানান, অনেকে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে গিয়েছিলেন প্রবাসে। লা’শ হয়ে ফিরে আসায় এসব পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার।
আরো দেখুনঃ ওমানে করোনায় মৃত প্রবাসীদের যেভাবে দাফন করা হয়
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
