দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ১৪ তারিখ থেকে সাতদিন যাত্রীবাহী সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউনের প্রজ্ঞাপন আসার পর পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান আজ গণমাধ্যমকে বলেন, লকডাউনের সময়ে অনুমতি নিয়ে কার্গো বিমান, স্পেশাল/চাটার্ড ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে। করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলে দেখা যাবে যাত্রীরা হয়তো তাদের নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারছেন না।’ এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাত দিনের বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করে সরকার। এতে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বেবিচক। এ ছাড়া তিনি জানান, ১২ ও ১৩ এপ্রিল অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু হবে কি না, সে বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
গত শুক্রবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন, গার্মেন্টস কারখানাসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, লকডাউন চলাকালে কোনোভাবেই মানুষকে ঘরের বাইরে আসতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্যঃ দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেবিচক। এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে ও সবশেষ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ নানা বিধিনিষেধ বেঁধে দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
