সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জনতার মিছিলে মো. ফরিদ শেখ নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হন।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানাসহ ২১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহত ফরিদের বাবা মো. সুলতান শেখ। আদালতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে মামলা করা আসামিরা হলেন— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, জুনায়েদ আহমেদ পলক, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ ফজলে নূর তাপস, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ, বিপ্লব কুমার, হাবিবুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, সাদ্দাম হোসেন, আবুল হাসান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত ফরিদের বাবা আদালতে উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৩টায় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে মারাত্মক জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।
পুলিশের গুলিটি ফরিদ শেখের পেটের ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান ফরিদ শেখ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
