মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক নারী। কিছুদিন পরই স্বামীর হাতে হত্যার শিকার হন তার মেয়ে। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, বিয়ে দিতে মেয়ের ওপর জোর খাটিয়েছিলেন ওই নারী। অস্ট্রেলিয়ার ‘জোরপূর্বক বিবাহ আইনে’ এখন তাকে যেতে হবে কারাগারে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওই নারীর নাম সকিনা মুহাম্মদ জান। বয়স চল্লিশের কোঠায়। আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে ২০১৯ সালের ২১ বছর বয়সী মেয়ে রুকিয়া হায়দারিকে ২৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী হালিমির সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পর নববধূকে হত্যা করেন মোহাম্মদ আলী। তিনি এখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা খাটছেন। ওদিকে, রুকিয়ার মা সকিনা মোহম্মদ জানকেও সোমবার অন্তত এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ আইন চালু হয় এবং এর সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড। অস্ট্রেলিয়ায় এই আইন লঙ্ঘন করার বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে সকিনাই এ আইনে প্রথম সাজা পেলেন।
সকিনা মোহম্মদ জান একজন আফগান হাজারা শরণার্থী। তিনি ২০১৩ সালে তার পাঁচ সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় আসেন। মেয়ের মৃত্যুতে সকিনা গভীর ভাবে শোকাহত বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
বিচারে আদালতের শুনানিতে বলা হয়, সকিনা তার মেয়ে রুকিয়াকে ১৫ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করতে বাধ্য করেছিলেন। সেই বিয়ে ২ বছর টিকেছিল। এরপর হায়দারি তার বয়স ২৭ কিংবা ২৮ না হওয়া পর্যন্ত আর বিয়ে করতে চাননি।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক ফ্রান ডালজিয়েল বলেন, ‘সে (রুকিয়া) পড়াশোনা করে চাকরি করতে চেয়েছিল। সকিনা হয়ত ভেবে থাকতে পারেন যে, তিনি মা হিসাবে মেয়ের জন্য ভাল সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি বারবার মেয়ে হায়দারির ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে জোর করে তাকে বিয়ে দিয়ে মা হিসাবে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
