অগ্নিসংযোগে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। গত ১৯ জুলাই এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, জননিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের হামলায় মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্টেশন দুটি সচল করার জন্য মেরামত কাজে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
এর আগে, গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় গত ১৫ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
একইসঙ্গে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এছাড়া এ পর্যন্ত কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। যারা এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতায় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৪ জন, চট্টগ্রাম ও নরসিংদীতে দু’জন করে এবং রংপুর, সাভার ও মাদারীপুরে একজন করে নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী। এদিকে আহতদের সংখ্যা কয়েক’শ ছাড়িয়েছে। এ আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই)) সকাল থেকে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার উত্তরা, মিরপুর, ধানমন্ডি, রামপুরা, যাত্রাবাড়িসহ কিছু স্থানে। দিনভর বারুদের গন্ধ আর মুহুর্মুহু টিয়ারশেলে উত্তপ্ত ছিল রাজপথ। জবাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা।
এ সময় পুলিশ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়, দেয়া হয় আগুন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
