ওমান প্রবাসীদের বহুল প্রত্যাশিত এনওসি প্রথা বাতিল হওয়াতে এখন থেকে বাড়বে ওমানিকরন। সেইসাথে ওমান সরকার যেসব শর্তে এনওসি প্রথা বাতিল করেছে, তাতে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তেমন একটা সুফল পাবেন না বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী পহেলা জানুয়ারি থেকে বাতিল হয়েছে অনাপত্তি ছাড়পত্র বা এনওসি প্রথা। এই পদ্ধতি বাতিল হলে শ্রমিকরা তাদের বিদ্যমান কর্মক্ষেত্রের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই তারা অন্যকোনো প্রতিষ্ঠানে এনওসি ছাড়াই কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এই বছর জুন মাসে ওমান সরকার এনওসি পদ্ধতি সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। যা কার্যকর হলো পহেলা জানুয়ারি থেকে। তবে পলাতক শ্রমিকদের তাদের কর্মস্থল পরিবর্তন করার অনুমতি নেই।
নতুন এই নিয়মে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে প্রবাসীরা অন্য সংস্থায় যোগ দিতে পারে। টাইমস অফ ওমান তাদের এক প্রতিবেদনে দেশটির সরকারি যোগাযোগ কেন্দ্রের নথি অনুসারে জানিয়েছে, এনওসি পদ্ধতি বাতিল হলেও কোনো প্রবাসী তাদের পুরানো সংস্থার কোনও গোপনীয় তথ্য তাদের নতুন নিয়োগকারীদের কাছে প্রকাশ করতে পারবেন না।
এটি প্রকাশ-বিহীন চুক্তি (এনডিএ) এবং একটি অ-প্রতিযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমেও করা যেতে পারে”। পলাতক শ্রমিকদের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোনো শ্রমিকের পালানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তবে তাকে সরকারীভাবে পলাতক হিসাবে নিবন্ধিত করা হবে এবং তাকে ওমান থেকে স্থায়ীভাবে বের করে দেওয়া হবে।
আরো পড়ুনঃ দুবাইয়ের হোটেল থেকে জিনিসপত্র চুরি করছে ইসরায়েলিরা
এদিকে এনওসি পদ্ধতি বাতিল হওয়াতে দেশটির বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ওমানি কর্মীদের অগ্রাধিকার বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই।
টাইমস অব ওমানের এই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, দেশটির এমন খাতগুলিতে এনওসি প্রথা বাতিল করা হচ্ছে, যে খাত গুলোতে ওমানি শ্রমিকের প্রয়োজন নেই, যেকারনে এই এনওসি প্রথা বাতিলে তেমন জোরালো ভাবে প্রভাবিত করবে না বিদেশী শ্রমিকদের উপর।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
