রেমিট্যান্সের ডলার নিজেদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশে আনতে হয় ব্যাংকগুলোকে। সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলো নিজেদের উদ্যোগে বাড়তি আড়াই শতাংশ অর্থ দিয়ে আসছিল। কিন্তু এখন ডলারের দাম নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার ফলে নিজেদের দেওয়া প্রণোদনা বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বুধবার ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করার ঘোষণা দেয়। এর ফলে ডলারের মধ্যবর্তী দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর আগে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ছিল ১১০ টাকা।
এখন বিদেশি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম ১১৭ টাকা থেকে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা স্থির করেছে। এর সঙ্গে সরকারের আড়াই শতাংশের পাশাপাশি ব্যাংকের সমপরিমাণ প্রণোদনা যুক্ত হলে ডলারের দাম হতো ১২৩ টাকা।
গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স যৌথসভায় সরকারের পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর থেকে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের কিছু ব্যাংক বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে। তবে বুধবারের পর থেকে অনেক ব্যাংক নিজস্ব প্রণোদনা বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার প্রেক্ষিতে এ প্রণোদনা বন্ধ করা হয়েছে। কারণ সরকারি প্রণোদনা পেলেই ডলারের দাম ১২০ টাকার কাছাকাছি হয়ে যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
