দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিরক্ষা ঠিকাদার, যারা বর্তমানে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে তাদের অবিলম্বে মালয়েশিয়া ছাড়া করার জন্য দেশটির বর্তমান আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ।
যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে, লকহিড মার্টিন এবং এমবিডিএ (বিএই) সিস্টেমস তারা নিয়মিত প্রদর্শন করতো, যা ফিলিস্তিনিদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বড্ড বেমানান ছিলো এবং এ সংস্থা দুটি বর্তমানে মালয়েশিয়ায় চারদিন ব্যাপী, ডিফেন্স সার্ভিসেস এশিয়া এক্সিবিশন এবং এশিয়া ন্যাশনাল সিকিউরিটি এক্সিবিশন ২০২৪ এ অংশ নিচ্ছে।
সোমবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (টুইটার)-এর একটি পোস্টে বলেছেন, এই প্রদর্শর্নীতে তাদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া মানে তেল আবিব প্যালেস্টাইনে যে নৃশংসতারপরিচয় দিচ্ছে তা তার বিরোধিতা করা।
আমাদের সমস্ত চেষ্টাগুলোকে উপহাস করার শামিল। এটা যেন আমরা ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরাতে তাদের সাথে মিশে আছি।
সোমবার সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, মাহাথির স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এ বিষয়ে সরকার এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে মালয়েশিয়া ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে হবে।
শুরু থেকেই ইসরায়েলের কঠোর সমালোচক মাহাথির এ বিষয়ে আরো যোগ করে বলেছেন যে, এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে অবশ্যই সচেতন করতে হবে এই বলে যে, মালয়েশিয়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সহ্য করে না।
মালয়েশিয়ার ফিলিস্তিনপন্থী গ্রুপ সেক্রেটারিয়েট সলিডারিটি প্যালেস্টাইন (এসএসপি) এবং পার্টি প্রিবুমি বেরসাতু মালয়েশিয়া একই ধরনের আপত্তি প্রকাশ করার পর মাহাথির মোহাম্মদ সর্বশেষ এই কোম্পানিগুলির উপস্থিতির বিরোধিতা করলেন।
রোববার (৫ মে) ব্যাংক সিম্পানান ন্যাশনাল (বিএসএন) এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সিজিল সিম্পানন প্রিমিয়াম (এসএসপি) বলছে, আইম পয়েন্ট, কোল্ট, এল ৩ হ্যারিস, লিউপোল্ড, শিল্ড এআই এবং লিওনার্দো ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে তারাও গণহত্যায় মেতে উঠেছে।
এর আগে, মালয়েশিয়াকে উপরে উল্লেখিত কয়েকটি কোম্পানি সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
