জুমাতুল বিদা কি? ইসলামের দৃষ্টিতে এটি পালনের কি কোন ভিত্তি আছে?
জুমাতুল বিদা (জুমা’তুল বিদ’আ) বলতে বুঝায়, রমাযানের শেষ জুমা সালাতের মাধ্যমে রমাযানকে বিদায় জানানো।
আমাদের দেশে দেখা যায়, রমাযানের শেষ শুক্রবারকে খুব গুরুত্বের সাথে ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করা হয়। এ উপলক্ষে জুমার নামাযে পরিলক্ষিত হয় প্রচুর ভিড়। এ দিনে কেউ কেউ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে, কেউ কেউ এ দিন উপলক্ষে বিশেষ কিছু নামায পড়ে, মসজিদে মসজিদে আয়োজন করা হয় বিশেষ দুআ-মুনাজত, ইফতার পার্টি ইত্যাদি। পরে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে নিউজ আসে “যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে সারা দেশে ‘জুমাতুল বিদা’ পালিত হয়েছে”!!
অথচ রমাযানের শেষ জুমার আলাদা কোনো ফযিলত আছে বা এ দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করতে হবে হবে কুরআন-সুন্নায় এ ব্যাপারে কোন ধারণা পাওয়া যায় না।
আমাদের কর্তব্য প্রত্যেক জুমার দিনকে গুরুত্ব দেয়া। সকল জুমার দিন ফযীলতপূর্ণ। রমাযানের প্রতিটি দিন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রমাযানের শেষ জুমার বিশেষ কোন ফযিলত আছে বলে কুরআন-সুন্নায় কোন প্রমাণ নাই।
জুমা’তুল বিদা একটি মনগড়া , বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দিবস পালন করার নাম। মূলতঃ এটা হচ্ছে জুমা’তুল বিদ’আ । অর্থাৎ জুমা’র দিনটিকে বেদাতে রূপান্তর করে দেয়া হলো।
মহানবী সাঃ থেকে শুরু করে খোলাফায়ে রাশেদীন রাঃ, সাহাবীগণ রাঃ, ইমামগণ রহঃ, তাবেঈনদের রাঃ কারো কাছ থেকে এমন একটি দিন পালন করার বিন্দুমাত্র দলীল খুঁজে পাওয়া যায়নি । এখনো পর্যন্ত আরবদেশে এ রকম জুমা’তুল বিদার কোন অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়নি । অথচ ভারত-বাংলাদেশে ধুমধাম করে এ দিনটি পালন করা হয়!
শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃকে প্রশ্ন করা হয় ভারতে জুমা’তুল বিদা পালন করা নিয়ে আপনার অভিমত কী? তিনি জবাবে বললেন “এটা আবার কী? তিনি অবাক হয়ে গেলেন! বললেন এসব আমল সুস্পস্ট বেদাত।”
مجموع فتاوى و رسائل عثيمين ٣٣١/١٤
البدع الحولية ٣٣٦
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
