ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন শেখের প্রবাসী ছেলে শামীম হোসেনের (৩৫) সঙ্গে মালয়েশিয়ান তরুণী সুয়াইলা বিনতে আব্দুর রহমানের সঙ্গে ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণতি দিতে এক মাসের ছুটিতে ফরিদপুরের এসেছেন মালয়েশিয়ান যুবতী।
গ্রামে বিদেশী বউকে নিয়ে এলাকাবাসীর কৌতূহলের শেষ নেই। আজ সকাল থেকেই শামীমের গ্রাম খারদিয়াসহ আশপাশের গ্রামের এলাকাবাসী বিদেশী বউ দেখতে ভিড় করছেন শামীমের বাড়িতে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সুয়াইলা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে, রাতেই ঢাকার একটি হোটেলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় শামীমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতেই নতুন বউকে নিয়ে নিজের বাড়ি ভাঙ্গায় চলে আসেন শামীম।
এদিকে, শামীমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শামীম হোসেন জীবিকার তাগিদে গত ৫ বছর আগে নির্মাণ শ্রমিকের ভিসায় (কনস্ট্রাকশন) মালয়েশিয়ায় যান। সুয়াইলা বর্তমানে মালয়েশিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। সেখানে যে এলাকায় শামীম বসবাস করতেন ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিল সুয়াইলা।
অনলাইনে সুয়াইলা একটি ওয়েব পেজের মাধ্যমে ফুল বিক্রি করতেন। ওই ওয়েবপেজের মাধ্যমেই শামীমের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। সখ্যতা থেকে তারা দুইজন প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শামীমের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, তখন সে দেশে ফিরে আসে। তবে অনলাইনে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ও প্রেম চলছিল, সেই প্রেমকে বিয়েতে রূপ দিতেই গতকাল বাংলাদেশে আসেন মালয়েশিয়ান ওই যুবতী।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, ঢাকায় বিয়ের পর্ব শেষ করে গতরাতেই শামীম তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গাতে চলে আসেন। মালয়েশিয়ান স্ত্রীকে বিয়ে করে দেশে এনেছেন শামীম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রামের উৎসুক জনতা শামীমের বাড়িতে এসে নতুন বউ দেখার জন্য ভির করতে থাকে।
শামীম হোসেন আরও বলেন, মালয়েশিয়া থাকাকালীন আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। তবে গত ৪ মাস আগে দেশে ফিরে আসায় একটু চিন্তিত ছিলাম সুয়াইলাকে বিয়ে করতে পারব কিনা, ও আমাদের দেশে আসবে কিনা।
তবে সুয়াইলা কথা রেখেছে। আমাকে, আমার পরিবার ও দেশকে ভালোবেসে সে আমার কাছে এসেছে তাতেই আমি খুশি। তবে এই প্রেমকে বিয়েতে রূপ দিতে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। অন্যদেশি মানুষ, আমার পরিবার, সমাজ খুব সহজে মেনে নিয়েছে তাতেই আমি খুশি।
এদিকে সুয়াইলার অনুভূতি জানিয়ে শামীম জানায়, সুয়াইলার বাংলাদেশের মানুষের অতিথি পরায়ণ তার ভাল লেগেছে। মাত্র এক মাসের ছুটিতে ঘুরে বেরিয়ে তার মন ভরবে না। সে আগামীতে অবশ্যই বেশি ছুটি নিয়ে এদেশে বার বার আসতে চায়।
এদিকে, ইউপি সদস্য কাউসার খন্দকার বলেন, আমাদের গ্রামের শামীম বিদেশি এক নারীকে বিয়ে করে এনেছেন। ভিনদেশী নারী আমাদের এলাকায় এসেছেন শুনে অনেকে ওই বাড়িতে বিদেশিকে দেখতে যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
