মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ইতালি থেকে রওনা দেন প্রবাসী শাহ আলম। উড়োজাহাজে ওঠার পর মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি ভাইকে জানান, ‘আসতে দেরি হলে মাকে দাফন করে দিয়ো। মাকে কষ্ট দিয়ো না।’ তবে শেষবারের মতো মাকে আর দেখা হয়নি শাহ আলমের। বাড়ি পৌঁছানোর আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তাঁর।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহ আলমের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এর আগে দুপুরে তাঁর মা ফিরোজা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়। এদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরে একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন ইতালি প্রবাসী শাহ আলম। মাইক্রোবাসে তাঁর সঙ্গে থাকা ভগ্নিপতি সেলিম মিয়াও দুর্ঘটনায় নিহত হন। মায়ের মৃত্যুর ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে ছেলে ও জামাতার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম। ঘটনার আকস্মিকতায় বাক্রুদ্ধ স্বজনেরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ভাই ও চার বোনের মধ্যে শাহ আলম তৃতীয়। ভাইদের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। ১৫ বছর আগে ইতালি পাড়ি জমান। তাঁর স্ত্রী রানু বেগম, বড় মেয়ে এবং দুই ছেলেও ইতালি প্রবাসী। ছয় থেকে সাত মাস আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েক দিন ধরে ফিরোজা বেগম শয্যাশায়ী। মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে গত বুধবার ইতালি থেকে উড়োজাহাজে ওঠেন শাহ আলম। এর পরপরই মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পান।
গতকাল সকালে তাঁকে আনতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান ভগ্নিপতি সেলিম ও ভাগিনা সাব্বির মিয়া। বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে ফেরার পথে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
