বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিষয়: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পরিবার গুলো সহযোগিতা পাওয়ার আবেদন!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার সালাম নিবেন। গণতন্ত্র ও মানুষের মুক্তি নিয়ে আপনার নিরলস কাজ করার কথা আমরা তথা বিশ্ববাসী জানে। আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। নোভেল করোনা ভাইরাসের কাছে গোটা বিশ্ব এখন জিম্মি। আজ যখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলো COVID-19 এর কাছে অসহায়, সেখানে আমাদের বাংলাদেশ যে ভাবেই হোক মোকাবেলা করছে!
তবে আমরা প্রবাসীরা ভালো নেই। প্রতিনিয়তই চিন্তায় আছি পরিবার পরিজন নিয়ে! আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হয়। আজ বাংলাদেশ যে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত, সেখানে প্রবাসীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কিন্তু বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা বিদেশের মাটিতে অনেকটা বন্দি অবস্থায় আছেন। কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না। আমরা নিজেদের থাকা-খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। শুনেছি আপনার ত্রাণ তহবিল থেকে প্রবাসীদের জন্যে বরাদ্দ আছে! কিন্তু আমরা এ ও জানি এই ত্রাণ কখনোই আমাদের প্রবাসী পর্যন্ত পৌঁছাবে না! যে দেশে হুতুম পেঁচা আপনার অগোচরে ডালে ডালে বসা!
এ অবস্থায় পরিবারকে কী দিবো? প্রত্যেক প্রবাসীর পরিবার সেই প্রবাসীর উপর নির্ভরশীল। মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের কাজ না করলে ভাতা পাওয়ার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। আর মাত্র কিছু দিন পরেই ঈদ!! তাই বলে কি আমাদের পরিবার গুলো এই রোজার মাসে না খেয়ে থাকবে????
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!
আমার দুটো বাচ্চা আছে যথাক্রমে ৮ ও ৪ বছরের! শেষ দুটি বছর তাদের সাথে দেখা হয়নি! ইচ্ছে ছিল তাদের সাথে এবারের ঈদ করার! কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে!
বাবা হিসেবে খোজ খবর রাখা ছাড়া বর্তমানে আর কিছু করতে পারছিনা! কবে কখন দেখা হবে তাদের সাথে সেটারও নিশ্চয়তা নেই! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!! আমরা ত্রাণ চাই না সহযোগিতা চাই!
আমাদের পরিবারের যে সব একাউন্টে আমরা প্রতিমাসে রেমিট্যান্স পাঠাতাম ঐ সব একাউন্টে নিদিষ্ট একটা একাউন্ট লোণ হিসেবে দিয়ে দেয়া হোক!(যাদের ব্যাংকে গচ্ছিত আমানত আছে তাদের না দিলেও চলবে) যাতে করে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের পরিবার গুলো অন্তত খেয়ে বাঁচতে পারে! আমাদের কাজ-কর্ম চালু হলে যখন আমরা টাকা পাঠাবো তখন প্রতিমাসে সেখান থেকে কেটে নিয়েন সমস্যা নেই! যেহেতু আমাদের পরিবার গুলোর ডাটাবেইজ প্রতিটা ব্যাংকে আছে সেহেতু পরিশোধ করতে সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয় না!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
পত্র-পত্রিকায় দেখেছি ২৪ ঘণ্টায় ৩-৪ ঘণ্টা রেষ্ট নেন! বাকি সময় রাষ্ট্রের কল্যাণের কাজে ব্যয় করছেন!! আমাদের মত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কথাটা আপনার ব্যস্ত সময়ের আওতায় একটু স্মরণ রাখবেন! এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে প্রত্যেক প্রবাসীর পরিবারকে এই বিশেষ সহযোগিতা প্রদান করুন। তাহলে হয়তো বাঁচতে পারবে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পরিবার!!
এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা!
মোহাম্মাদ হান্নান
মাস্কাট, ওমান।
https://www.youtube.com/watch?v=_2LZqIFmTp4
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
