নভেম্বরে দুবাইয়ের বাড়ি ভাড়ার চাহিদা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাড়ির মালিকরা অত্যন্ত উৎসাহী ছিলেন। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ আবেদনে সাড়া দিয়েছেন অঞ্চলটির ল্যান্ডলর্ড বা বাড়ির মালিকরা।
ক্রমেই বিনিয়োগবান্ধব হয়ে উঠছে দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট খাত। অ্যারাবিয়ান বিজনেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রিয়েল এস্টেট ব্রোকার প্রতিষ্ঠান ফার্ম অলসপ অ্যান্ড অলসপের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সেখানকার প্রপার্টি বাজারে ভাড়া নিতে আগ্রহী দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ। আর নভেম্বরে সামগ্রিকভাবে ভাড়া বাবদ লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ৯৪ শতাংশ।
এ সময় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ভিলা ভাড়া নেয়ার হার বেড়েছে ৫৮ শতাংশ। দুবাইয়ে খাতটির প্রবৃদ্ধির মূল প্রভাবক হিসেবে দেখা হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত ও নবাগত পরিবারগুলোর চাহিদাকে।
নভেম্বরে অলসপ অ্যান্ড অলসপের মাধ্যমে কেনা অ্যাপার্টমেন্টের দাম ছিল ২০ লাখ আমিরাতি দিরহামের কিছু কম। তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় এখানে প্রথমবারের মতো বাড়ি ভাড়া নিতে আগতদের কাছে দুবাইয়ের আবাসন খাত এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
২০২৩ সালে বিশ্বের বেশকিছু রিয়েল এস্টেট বাজার রেকর্ড তৈরি করেছে। এরই মধ্যে ২০১৪ সালের পর দুবাইয়ে প্রতি বর্গফুট জায়গার গড় বিক্রি মূল্য ১৪ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি বর্গফুটের মূল্য ১ হাজার ২৫৭ আমিরাতি দিরহাম। লন্ডন, প্যারিস ও নিউইয়র্কের তুলনায় দুবাইয়ের আবাসন খাতে ব্যয় নাগালের মধ্যে।
বর্তমানে দুবাইয়ের আবাসন খাতের যে পরিস্থিতি, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় কম সরবরাহ অবস্থায় রয়েছে বলে অলসপ অ্যান্ড অলসপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেখানে আগামী বছর ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের চাহিদা ভালো থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
অলসপের প্রধান নির্বাহী লুইস অলসপ বলেন যে, ২০২৪ সালে দুবাইয়ের আবাসন খাত ভালো যাবে। তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যত কী হবে তা বলা কঠিন, তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এই খাতে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
