প্রবাসী কর্মীদের সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়ার দুই মন্ত্রণালয়। শনিবার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং জানিয়েছেন, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো একটিমাত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে।
মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনার এখতিয়ার যাতে একটি মন্ত্রণালয়ের হাতে রাখা যায় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, শপথ নেওয়ার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বিদেশি শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মূলত মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনায় সেক্টরভিত্তিক মন্ত্রণালয়, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে। বিশেষ করে যে সেক্টরে কর্মী প্রয়োজন সে সেক্টর প্রথম অনাপত্তি দেয়, এরপর মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্মীর সংখ্যা ও বেতন, সুযোগ-সুবিধা এবং আবাসন বিষয় পরীক্ষা করে সঠিক পেলে অনুমতি দেয়; স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে আগত কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনাপত্তি দিয়ে থাকে; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি কর্মীর সিকিউরিটি চেক করে ক্লিয়ারেন্স এবং মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অনুমতি দেয়; অতঃপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সে দেশে অবস্থিত দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্মীর নামে ভিসা ইস্যু করে।
তাছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে বিদেশি কর্মীর ভিসা নবায়ন এবং ভিসার শর্ত ও ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ করলে কর্মী এবং নিয়োগকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ইমিগ্রেশন বিভাগ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
