রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে অভিজাত শপিংমলে মাত্র কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্যবহৃত আইফোন। কম দামের লোভে অনেকে এসব আইফোন কিনে নেন। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এসব আইফোনের অধিকাংশই চুরি বা ছিনতাই করা। এসব আইফোন কেনার ফলে ক্রেতারা নানা বিপদে পড়তে পারেন। কারণ, এসব আইফোনের অধিকাংশই চুরি বা ছিনতাই হওয়া।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আইফোন চুরি-ছিনতাই ও ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ চক্র টার্গেট করেই আইফোন চুরি বা ছিনতাই করতো। এরপর সেগুলো বিক্রি করতো অভিজাত শপিংমলগুলোতে। কখনো পুরো ডিভাইস, কখনো আলাদা পার্টস বিক্রি হতো।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীতে মোবাইল চোর আছে অসংখ্য। আছে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র। একেক চক্রের চুরির ধরন একেক রকম। তবে এ চক্রটি একদমই আলাদা। রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে ১০-১৫ টিমে ভাগ হয়ে রাস্তায় নামতো এই চক্রের সদস্যরা। চোখ রাখতো শুধুমাত্র আইফোন বা দামি ফোন ব্যবহার করছেন এমন পথচারীদের দিকে। এরপর সুযোগ বুঝে করতো চুরি-ছিনতাই।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. মনির হোসেন, জহির হোসেন, মো. সুরুজ হোসেন, রকি, রাজন আহমেদ, মো. রাসেল ও মো. তানভীর আহম্মেদ। তাদের কাছ থেকে ৪৫টি আইফোন, ১টি অন্য ব্র্যান্ডের দামি স্মার্টফোন, ১টি ল্যাপটপ, ২১টি আইফোনের বডি, ৯৭টি মাদারবোর্ড ও ১ রোল সিলভার কালার ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, আইফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে তা বন্ধ থাকলেও ফোনের মালিক ডিভাইসের লোকেশন কোথায় আছে তা বুঝতে পারেন। এ কারণে ফোন চুরির পর পরই ট্র্যাকিং বন্ধ করতে ফয়েল পেপারে পেঁচিয়ে ফেলতো এই চক্রের সদস্যরা। এরপর তা বিক্রি হতো বড় বড় অভিজাত মার্কেটের ফোনের দোকানে।
তিনি আরো জানান, গত ১৮ নভেম্বর এক ভুক্তভোগী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে রিসিপশন থেকে তার আইফোন, এনআইডি কার্ড ও ব্যাংকের ৩টি কার্ড চুরি হয়। ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করলে তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। এরপর রাজধানীর পরীবাগ ও হাতিরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
চোরাই ফোন কেনা আইনি ঝামেলার কারণ হতে পারে। লাখ টাকা মূল্যের আইফোন মাত্র কয়েক হাজার টাকায় পাওয়ার প্রলোভনে পড়ে অনেকেই চোরাই ফোন কেনেন। কিন্তু এটি আইনি অপরাধ। চোরাই ফোন ব্যবহার করলে যে ব্যক্তির ফোন চুরি হয়েছে, তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চোরাই ফোন কেনা ব্যক্তিকেও অভিযুক্ত করা হতে পারে। তাই চোরাই ফোন কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা জরুরি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
