দুবাই জলবায়ু সামিটের আলোচনা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। এই সামিট ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায়। তাই এই সামিটের দ্বিতীয় সপ্তাহের আলোচনাও শুরু হয়েছে আশার বাণী দিয়ে। এই আলোচনার শুরুতেই নতুন করে আশার বাণী শুনিয়েছেন সম্মেলনের (কপ) সভাপতি সুলতান আল জাবের।
তিনি বলেছেন, অতীতের যে কোন সস্মেলনের চেয়ে এবারের জলবায়ু সম্মেলন হবে ব্যতিক্রম। সকল অসম্ভবকে আমরা এই সম্মেলনে সম্ভব করে তুলব। আমরা যেমন লস এন্ড ডেমেজ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, তেমনি অন্যান্য এজেন্ডাগুলোতেও আমরা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারব।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দফা আলোচনার শুরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে সুলতান আল জাবের বলেন, ইতোমধ্যে ২৮তম জলবায়ু সম্মেলন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আগামী কয়েক দিনে জলবায়ু আলোচনা আরও গতি পাবে। আমি নিশ্চিত এবারের সম্মেলনে আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারব। আমি আশাবাদী, আগামী কয়েক দিনে আমরা বিশ্বকে বৈশ্বিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে এ্যাকশনধর্মী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারব।
এ প্রসঙ্গে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির মুল নায়ক জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থার সাবেক নির্বাহী সচিব ক্রিষ্টিয়ানা ফিগুরেস স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, সামনের দিকে আগাতে চাইলে এই জলবায়ু সম্মেলনেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে আপোষ করা যাবে না।
শুক্রবারের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে অন্যতম ছিল আষ্ট্রেলিয়ার আবার জলবায়ু অর্থায়নে ফিরে আসা। এই দিন দেশটি প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য ১৫ কোটি ডলার অর্থ প্রদান করেছে।
এদিন শতাধিক আদিবাসী সংগঠন কপ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠি দিয়েছে। এই চিঠিতে তারা বলেছে, বিশ্বকে নবায়নোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অধিকার যেন সংরক্ষণ করা হয়। অর্থাৎ তাদের উচ্ছেদ করে কোন দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানরি স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
এদিন, বিশ্বের ২৫০টি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস তরলীকরণে সহায়তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
