দেশে মহামারী করোনার এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সময়োপযোগী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জীবিকা নিশ্চিত থেকে শুরু করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে নানা প্রণোদনাও ঘোষণা করেছেন। বলা হয়ে থাকে, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগের সময় সাহস আরও বেড়ে যায়।
দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক জনপ্রতিনিধি মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পরেছেন। অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে দিনরাত কাজ করেছেন অনেক জনপ্রতিনিধি। যাদের মধ্যে অন্যত হচ্ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
করোনা দুর্যোগ শুরুর পর শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিন-রাত সক্রিয় থেকেছেন। প্রতিটি কর্মকান্ড বাস্তবায়নে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। জানা যায়, দেশে লকডাউন শুরুর চারদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তাকে গণভবনে ডাকেন। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী তাকে নির্দেশ দেন লকডাউনের ফলে দৈনিক আয়ের উপরে নির্ভর করা কর্মহীন সম্প্রদায়কে খাদ্য এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিশ্চয়তার নির্দেশ প্রদান করেন।
পুরো কাজটি জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় এ মন্ত্রণালয়কে। এরপর দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কাছে মেইলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয় কার কতো টাকা প্রয়োজন এবং কী পরিমাণ চাল মজুদ আছে। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে ফিরতি মেইল পাওয়ার পরই প্রতিটি জেলায় বরাদ্দ পাঠায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে লাইভে আসবেন এমপি নিক্সন
১৯৫৮ সালের ৮ মার্চ জন্ম গ্রহণ করা এনামুর রহমান ১৯৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। পেশায় একজন চিকিৎসক এবং এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান, এনাম মেডিকেল হাসপাতাল (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এনাম এডুকেশন অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিলেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান তিনি। ঢাকা-১৯ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়েছেন মো. এনামুর রহমান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তাঁর ওপর।
১৯৯২ সালে তিনি সাভারে ফিরে আসেন এবং এনাম ক্লিনিক নামে ৬ শয্যা বিশিষ্ট একটি ছোট ক্লিনিক গড়ে তোলেন। ২০০৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়লে আহতদের তিন মাস বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আলোচনায় আসেন এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ও এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুরাদ জংয়ের পরিবর্তে ঢাকা-১৯ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন এনামুর রহমান।
আরও দেখুনঃ প্রবাস টাইম নিয়ে যা বললেন ওমানের রাষ্ট্রদূত
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
