কর্মচারীর বিয়েতে বরযাত্রী হতে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অজপাড়াগাঁয় ছুটে এসেছেন মালিক আবু বন্দর। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি কর্মচারী রাশেদুলের বিয়েতে বরযাত্রী হয়ে বিয়েও খেয়েছেন তিনি।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সৌদি নাগরিক আবু বন্দর ও প্রবাসী লালন শেখ। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে গোপালগঞ্জের কাজুলিয়া গ্রামের পল্লী মঙ্গল ইউনাইটেড একাডেমি অ্যান্ড কলেজে মাঠে এসে নামেন তারা। সেখানে সৌদি নাগরিক আবু বন্দরকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মচারী রাশেদুলের সঙ্গে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বরযাত্রী হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভার রতাইল এলাকায় অবস্থিত কনের বাড়িতে যান আবু বন্দর। কর্মীর বিয়েতে সৌদি মালিক অংশ নেয়ায় বর ও কনের বাড়িতে ছিল উৎসবের আমেজ।
শুক্রবার রাশেদুলের বৌভাতের অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন তিনি। বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরে যাবেন নিজ দেশ সৌদি আরবে।
কর্মচারীর বিয়েতে এসে কেমন লাগলো এমন প্রশ্নে আবু বন্দর বলেন, ‘আমার খুবই ভালো লেগেছে। রাশেদুলের বিয়েতে আসতে পেরে আমি সবচেয়ে খুশি। তিনি শুধু আমার কর্মচারী না আমার ভাইয়ের মতো’।
দুই দেশের বিয়ের পার্থক্য কি জানতে চাইলে আবু বন্দর বলেন, আমাদের দেশে বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় রাতে এশার নামাজের পর। শেষ করতে হয় ফজরের আগে। ৫-৬ ঘণ্টায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিয়ের চিত্র ভিন্ন। এখানে দুই তিনদিন ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান করে। এরা বিয়েতে অনেক আনন্দ করার সুযোগ পায়।
বর রাশেদুল ইসলাম বলেন, তিনি (আবু বন্দর) আসাতে আমার বিয়ের আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার কফিল (মালিক) আমার বিয়েতে সৌদি থেকে এসেছেন এতে আমি ধন্য।
কনের চাচা ও কোটালীপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর কবীর হাওলাদার বলেন, এর আগে আমাদের এই অঞ্চলে কোনো বিয়েতে বিদেশি নাগরিক আসেনি। এবারই প্রথম। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কর্মচারীর প্রতি সৌদি মালিকের ভালবাসা দেখে। সত্যিই আমরা মুগ্ধ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
