বিয়ের কথা শুনলে প্রথমেই মাথায় আসে জমকালো আলোক সজ্জা আর জমপেশ খাওয়া দাওয়ার। আর সাথে বর বউসহ সঙ্গী সাথী পরিবার পরিজনদের চোখ ধাধানো সাজ তো আছেই। এতো গেলো সাধারণ বিয়ের কথা। কিন্তু বিয়ে যদি হয় কোনো যুবরাজের তবে সাজসজ্জা আর আয়োজনের বাহার বেড়ে যায় হাজার গুণ। ঠিক তেমনই জমকালো আয়োজনে বিয়ে করছেন জর্ডানের যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ ও সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সাইফ। পহেলা জুন জর্ডানের রাজধানী আম্মানের জাহরান প্রাসাদে এর আয়োজন করা হয়। রাজকীয় এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি শতাধিক অতিথি। যুবরাজের বিয়ে উপলক্ষে ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। পুরো আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে।
হুসেইন জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ জর্ডানের ভবিষৎ বাদশা। তাঁর বয়স ২৮ বছর, আর স্ত্রী রাজওয়ার বয়স ২৯ বছর। তাঁদের এ বিয়ের মাধ্যমে জর্ডানের সঙ্গে প্রতিবেশী সৌদি আরবের কৌশলগত মিত্রতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজকীয় এ বিয়ের আয়োজন ঘিরে সেজে উঠেছে পুরো আম্মান। পথের ধারে, বাসে বর-কনেকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। কেননা, সাম্প্রতিক সময়ে এটাই জর্ডানের রাজপরিবারে সবচেয়ে আলোচিত ও জাকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজন।
হজ পালনে সৌদি পৌঁছেছেন ২৯ হাজার ৫৯৫ জন যাত্রী
যুবরাজ হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাজনীতি-সচেতন হুসেইন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। অন্যদিকে, রাজওয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সৌদি আরবে হলেও তিনি পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। যুবরাজ হুসেইনের বিয়ের আমেজ যেন পেয়ে বসেছে পুরো জর্ডানের মানুষকে। আনন্দে মেতেছেন তাঁরা। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ যুবরাজ উইলিয়াম এবং তার স্ত্রী। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান অন্যান্য দেশের রাজপরিবার। অতিথি হিসেবে ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশকিছু দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
