ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন ওমানের নাগরিক ও ধর্মপ্রাণ প্রবাসীরা। শনিবার দেশটির আল খোর মসজিদে নামাজ আদায় করেন মহামান্য সুলতান হাইথাম বিন তারেক। এতে আরো অংশ নেন, রাজপরিবারের সদস্যরা, মন্ত্রী, স্টেট কাউন্সিল এবং শুরা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সুলতানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং অন্যান্য সামরিক ও নিরাপত্তা ইউনিটের কমান্ডার ও ওমানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক প্রধানরা।
নামাজের ইমামতি করেন ওমানের ধর্ম মন্ত্রী ডক্টর মোহাম্মদ বিন সাইদ আল মা’মারি। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, ও মানুষের সুস্থতা কামনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরে, ঈদের নামাজ আদায় করতে ওমানের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে প্রবাসীদের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়। করোনার পর এমন উৎসব মুখর আমেজ আর দেখা যায়নি ওমানে। কে ওমানি আর কে প্রবাসী তা দেখে বুঝার উপায় নাই। ধনী গরীব, ওমানি প্রবাসী সব যেন এক কাতারে হাজির হয়েছেন এদিন।
পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা খুব বেশি নয়। প্রিয়জনদের দেশে রেখে বছরের পর বছর বিদেশে ঈদ করতে হচ্ছে অনেক প্রবাসীকে। প্রবাসে পরিবারের সদস্যরা ছাড়া ঈদ উদযাপন যেন আনন্দহীন বলছিলেন প্রবাসীরা।
সারা বছর প্রবাসের মাটিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করেন প্রবাসীরা। এরপরও ঈদে হাতে গোনা কয়েকজন দেশে যেতে পারেন। নানা জটিলতায় অনেকেই প্রিয়জনদের সঙ্গে দেশে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে পারেন না। তাই চোখের পানিতে বুক ভরা হাহাকার নিয়ে ঈদকে স্বাগত জানান প্রবাসীরা। বুকের মাঝে শূন্যতার আসনে ভিনদেশে পরিবার পরিজন ছাড়া ঈদ কত যে দুঃখ-কষ্টে ভরা তা একমাত্র প্রবাসীরাই বোঝে। তবুও নিজেকে একটু আনন্দ দিতে ঈদের দিন বন্ধুবান্ধব মিলে মাস্কাটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ান প্রবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
