করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যখন বিশ্ব বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করেও কোনো সফলতা দেখাতে পারছেন না, সেখানে গত মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ধুমধাম করেই করোনার ওষুধ বাজারে আনার কথা ঘোষণা দেন ভারতের আলোচিত যোগগুরু বাবা রামদেব।
ইতিমধ্যেই করোনার ওষুধ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে ভারতের বিখ্যাত যোগগুরু ও পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের প্রধান বাবা রামদেবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রামদেবের কোম্পানির উদ্ভাবিত করোনার ওষুধ ‘করোনিল’র সব প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পতঞ্জলির তরফে জানানো হয়, ‘করোনিল ও শ্বাসরি’ নামের দুটি ওষুধ কোভিড রোগীদের ওপর পরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে। এই ওষুধ প্রয়োগে সুস্থতার হার ১০০ শতাংশ বলে জানায় কোম্পানি। এমনকি রামদেব দাবি করেন, দীর্ঘ গবেষণার পরই আয়ুর্বেদকে কাজে লাগিয়ে ওষুধটি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এতে তিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি।
কিন্তু এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই শোরগোল ফেলে দেয় গোটা দেশে। সেখানকার স্থানীয় মন্ত্রী তড়িঘড়ি ওই ওষুধ সম্পর্কে বিস্তার তথ্য চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে পতঞ্জলিকে। সেইসঙ্গে এই ওষুধ সংক্রান্ত সমস্ত রকম বিজ্ঞাপন বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ওমান থেকে দেশে ফেরার নিবন্ধন শুরু করেছে দূতাবাস
গতকাল শুক্রবার জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় ওই মামলাটি করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যোতিনগর পুলিশ স্টেশনে রামদেবসহ পতঞ্জলির এমডি আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ ভার্শনে, এনআইএমএস চেয়ারম্যান বলবীর সিং তোমর এবং ডিরেক্টর অনুরাগ তোমরের বিরুদ্ধে ভুল প্রচার চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। জ্যোতিনগর থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
