রিকশাচালকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ওমান প্রবাসীর স্ত্রী। এই অভিযোগে উক্ত নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- হাফেজ নুরুল ইসলাম (৩০), বায়েজিদ হোসেন (৭০), আকবর আলী (৬৯) ও আতিক উল্লাহ (৫০)। গ্রেপ্তারকৃতরা ৪ জনই একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই নারীর অভিযোগ উঠে যে, একই উপজেলার অন্য গ্রামের বাসিন্দা এক অটোরিকশাচালকের (২৭) সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।
সম্প্রতি ওই নারীর ব্যক্তিগত ভিডিও গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দেন ওই অটোরিকশাচালক। এ নিয়ে গত সোমবার রাতে ওই গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়। স্থানীয় বাসিন্দা বায়েজিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সালিশে হাফেজ নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সালিশে ওই নারী পরকীয়ায় জড়িত রয়েছেন এবং শাস্তি হিসেবে ৮২টি বেত্রাঘাত ও ৮০টি পাথর নিক্ষেপ ও ১ মাস বাড়ি থেকে বের না হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় আকবর আলী (৬৮) ওই নারীকে ৮২টি বেত্রাঘাত করেন এবং উপস্থিত অন্যরা পাথর নিক্ষেপ করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে ওই নারী মাটিতে পড়ে যান। আহত নারী নিজ ঘরেই চিকিৎসা নেন।
এদিকে নির্যাতিত ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে ওই অটোরিকশাচালক বিভিন্ন সময় তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গোপনে ওই ব্যক্তি আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ঘটনার পর থেকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ওই অটোরিকশাচালক এলাকা থেকে গাঢাকা দিয়েছেন।
চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক রাশেদুল হক জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপের সত্যতা পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার মামলা দায়ের করা হলে ওইদিনই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
