ফের মস্কো থেকে গোয়া অভিমুখী বিমানে বোমাতঙ্ক। রাশিয়ার মস্কো থেকে ২৪০ জনকে নিয়ে গোয়ায় যাচ্ছিল আজুর এয়ারের একটি চাটার্ড প্লেন। ভারতের আকাশসীমানায় ঢোকার আগেই গোয়া বিমানবন্দরে একটি মেইল আসে। ওই মেইলে বলা হয়, প্লেনটির মধ্যে বোমা রাখা আছে। তার পরই তড়িঘড়ি করে প্লেনটিকে উজবেকিস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানের একটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে সেটি। এই নিয়ে ১১ দিনে দু’বার এমন বোমাতঙ্ক ছড়াল মস্কো-গোয়া বিমানে। খবর এনডিটিভির।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানিয়েছেন, গোয়া বিমানবন্দরে ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে প্লেনটির নামার কথা ছিল। রাত সাড়ে ১২টায় মেইলে হুমকির আসার পরে সেটিকে ঘুরিয়ে উজবেকিস্তানের দিকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেইলটি আসে গোয়া বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তার কাছে। তবে মেইলটির প্রেরকের নাম জানা যায়নি। এই নিয়ে চলতি মাসে একই ধরনের দু’টি ঘটনা ঘটলো। গত ৯ জানুয়ারি গোয়াগামী আরও একটি প্লেনে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুজরাটের জামনগর বিমানবন্দরে সেটিকে তড়িঘড়ি করে নামানো হয়। যাত্রীদের নামিয়ে বিমানে তল্লাশি চালানোর পরও ভেতর থেকে বোমা বা বিস্ফোরক কিছু পাওয়া যায়নি।
পরে জানা যায়, যে ফোনের মাধ্যমে এই তৎপরতা ও আতঙ্ক, সেটি আসলে ভুয়া ছিল এবং একদিন পরে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে উড়ে যায় প্লেনটি। এদিকে প্রস্রাব কাণ্ডের জন্য শাস্তি পেয়েছে বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়াকে এই ঘটনায় ৩০ লাখ রুপি জরিমানা করেছে।
নিউইয়র্ক থেকে নতুন দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনে এক সত্তরোর্ধ্ব যাত্রীর গায়ে আর এক সহ-যাত্রীর মাতাল অবস্থায় প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সেই ঘটনায় কোম্পানির পাশাপাশি প্লেনের ভারপ্রাপ্ত পাইলটকেও শাস্তি দিয়েছে ডিজিসিএ। গত ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার ওই প্লেনের বিজনেস ক্লাসের যাত্রী শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে মাতাল অবস্থায় এক প্রবীণ সহ-যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় মিশ্রের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। বেঙ্গালুরু পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
