সংযুক্ত আরব আমিরাতে অটোকার ইন্ডাস্ট্রিতে এক অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন ফেনীর দাগনভূঞা থানার সিন্দুর পুর ইউনিয়নের এ কে আজাদ। একজন বাংলাদেশি হিসেবে বিদেশের মাটিতে ভিনদেশী ব্যবসায়ীদের কাছে তার এই সফলতা ঈর্ষণীয় বলাই যায়। আমিরাতে সৌখিন অটোকার গ্রাহকদের কাছে এক ব্যবসায়িক আইকন হিসেবে পরিচিত এখন একে আজাদ।
ইংল্যান্ডে মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন করে ব্যাবসায়িক স্বপ্ন নিয়ে ৯৮ সালের জুন মাসে দুবাই আসেন একে আজাদ। অটো ইন্ডাস্ট্রির ওপর অভিজ্ঞতা অর্জন করা আজাদ সমৃদ্ধশালী আমিরাতে এসে তার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। ধীরে ধীরে গত ২৩ বছরে আধিপত্য বিস্তার করেন দুবাইয়ের অটোকার রাজ্যে। দুবাইতে তার গ্রুপ অব কোম্পানির নাম নেফলেক্স গ্রুপ।
দুবাইয়ের আল খোর এলাকায় তার শোরুম গুলোতে পৃথিবীর বিখ্যাত ব্র্যান্ডের অটোকার গ্রাহদের পাদচারণা প্রবাসী বাংলাদেশীদের গর্বিত করে তোলে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, তার শোরুমগুলোতে বাৎসরিক টার্নওভার ১০০ মিলিয়ন দিরহাম ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দুইশোরও বেশী বাংলাদেশী শ্রমিক তার অটোকার শোরুম গুলোতে কর্মরত আছেন।
কার কেয়ার সেন্টার এলএলসি, মুন অটো মোবাইল এলএলসি, কার এক্স অকশন নামে আজাদের একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি হোম কেয়ার রিয়েল স্টেট ও চিকেন কর্নার রেস্টুরেন্ট ইউকে নামে আরো দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। যেখানে শতাধিক বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজাদ শুধু একজন ব্যবসায়ী হিসেবে নয় নাম কুড়িয়েছেন একজন মানবিক ব্যক্তি হিসেবেও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। নানা সংকটে অসংখ্য প্রবাসী একজন ত্রাণকর্তা হিসেবে আজাদকে পাশে পেয়েছেন। দুবাই সরকার আজাদের ব্যবসায়ীক অবস্থান বিবেচনা করে সর্বপ্রথম তালিকায় তাকে গোল্ডেন ভিসাও প্রদান করেছেন। প্রবাসের মাটিতে শূন্য হাতে আসা এ কে আজাদের সফলতা অনেকের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে বলে মনে করেন প্রবাসীরা।
আরো পড়ুন:
টাইলস চাপা পড়ে মালদ্বীপে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
ওমানের আল সিবে স্থাপন হচ্ছে নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র
মালয়েশিয়ার রাজার সঙ্গে হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ওমানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট
মালয়েশিয়ায় যেতে কর্মী নিবন্ধন শুরু
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
