দীর্ঘ যাত্রার পর বিমান থেকে নেমেই হেলথ ডেস্ক আর ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতার পর লাগেজ পেতেও কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমন সীমাহীন দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করছেন দেশি বিদেশি যাত্রীরা। বন্দরের পরিস্থিতি দেখতে আসায় বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, রাতারাতিই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা এক চিত্রে দেখা যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেলথ ডেস্কের সামনে যাত্রীদের ভিড়। সেখানে দেখা মেলে ফ্লাইট থেকে নেমে ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়ানোর আগেই যেখানে পার করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিশৃঙ্খলভাবে সবাই একসঙ্গে লাইনে ঢুকে পড়ছে, তা না করে সবাইকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিলে ব্যাগ চেকটা তাড়াতাড়ি হতো বলে জানান এক যাত্রী।
কলকাতা থেকে ঢাকা উড়ানে সময় লাগে বড়জোর এক ঘণ্টা। কিন্তু ঢাকায় নেমে হেলথ ইমিগ্রেশন ডেস্কের লম্বা লাইন পার হয়ে লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হতেই সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়। বিমানবন্দরে আসা একযাত্রী বলেন, স্ক্যানার বসানো হয়েছে, সেটি দিয়ে লাগেজের ভেতরে দেখা যায় না, তাহলে কেন এটা বসানো হয়েছে। যাত্রী হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।
প্রতিদিন ২৯টি এয়ারলাইনসের প্রায় ১৩০টি ফ্লাইট উঠানামা করে বিমানবন্দরে। এসব ফ্লাইটে যাতায়াত করে ২০ হাজারের বেশি যাত্রী। কিন্তু বিমানবন্দরের সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রায় প্রতিটি যাত্রীর। এ ব্যপারে মন্ত্রণালয় বলছে, রাতারাতি বাড়ানো যায় না গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা। এক সঙ্গে চেক করতে গিয়ে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এগুলো দেখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম মনে করেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের অভাব আর সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। কোন সময় এয়ারপোর্টের ওপর চাপ থাকবে বা থাকবে না যারা এটার পরিচালনায় আছে তাদের জানার কথা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
