প্রতারণা, হয়রানি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা। পাসপোর্ট আটকে রেখে কম বেতনে কাজে বাধ্য করার পাশাপাশি রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও। হাইকমিশনের অবহেলা ও নজরদারি না থাকায় সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রবাসী কর্মীরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২২ ডিসেম্বর মালদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রবাসী কর্মীদের জন্য মানবিক দেশ বলা হয় দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপকে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসেবে প্রায় ৬ লাখ অধিবাসীর দেশটিতে প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। যার মধ্যে শুধু বাংলাদেশিই এক লাখের বেশি। এর মধ্যে আবার অর্ধেকেরই নেই বৈধতা।
মুসলিম অধ্যুশিত দেশটি প্রবাসীদের প্রতি যথেষ্ট মানবিক। অপরাধে জড়ানোর প্রমাণ না পেলে অবৈধদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার নজির নেই। কিন্তু শান্তির এ দেশে মূল সমস্যা দালাল ও মালিক সিন্ডিকেট। তাদের খপ্পরে পড়ে শুরু থেকই হয়রানি, শোষণ আর বঞ্চনার শিকার বাংলাদেশিরা। অসহায় প্রবাসীদের অভিযোগ, অধিকার আদায়ে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ অন্য দেশগুলোর দূতাবাস যতটা সক্রিয়, ঠিক ততটাই নির্বিকার বাংলাদেশি হাইকমিশন। এ বিষয়টি সমাধানের দাবি জানান শ্রমিকরা।
এদিকে গতকাল, বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠাতে সংশোধিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মালদ্বীপ যাচ্ছেন। এটা মালদ্বীপের সঙ্গে আমাদের কোয়ালিফাইড হেলথ প্রফেশনাল গ্রহণের জন্য একটা চুক্তি।
আমাদের এতদিন একটা এমওইউ ছিল, সেটার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের হেলথ প্রফেশনাল যেত। মালদ্বীপ বলেছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা এবং একটি চুক্তির মধ্যে নিয়ে আসা। এমওইউ-তে বাইন্ডিং থাকে না, কিন্তু এগ্রিমেন্ট হলে বাইন্ডিং হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
