প্রবাসী কর্মীদের জন্য ভিসার মূল্য অবৈধ ঘোষণা করলো ওমান সরকার। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী শ্রমিকের ভিসার মূল্য কোম্পানিকে অথবা মালিককেই বহন করতে হবে। ভিসা বাবদ কোনো অর্থ শ্রমিক থেকে নিতে পারবেনা কোনো কোম্পানি বা মালিক।
দেশটির এমন আইনের সুফল পাবেন প্রবাসীরা। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বাস্তবায়ন করা গেলে নাম মাত্র খরচে বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে পারবেন প্রবাসীরা। এতে যেমনিভাবে অভিবাসন খরচ কমবে, তেমনিভাবে ভিসার জন্য যে পরিমাণ অর্থ দেশের বাহিরে পাচার হতো, তা বন্ধ হবে।
একইসাথে ওমানের শ্রম আইন অনুযায়ী কোনো শ্রমিকের পাসপোর্ট তার মালিক বা কোম্পানি রাখতে পারবেনা, এটি ওমানের শ্রম আইন অনুযায়ী কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। পাসপোর্ট এবং রেসিডেন্স কার্ড ব্যক্তি নিজের অধিকার এবং এটা তার নিজের কাছেই থাকবে। কোনো মালিক বা কোম্পানি যদি কোনো শ্রমিকের পাসপোর্ট বা রেসিডেন্স কার্ড অবৈধভাবে জব্দ করে, তাহলে উক্ত প্রবাসী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট বা রেসিডেন্স কার্ডের মালিক যিনি, এটি তিনি ব্যতীত অন্য কারো কাছে রাখার এখতিয়ার নেই। যদি কোন নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি কোনো শ্রমিকের পাসপোর্ট আটকে রাখে বা দিতে অপারগতা জানান, অথবা শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন, তাহলে উক্ত কর্মচারী সরাসরি ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়ে যেয়ে নিয়োগকর্তা বা কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি দেশটির জাতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ওমানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওমানের একজন আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, “পাসপোর্ট একজন শ্রমিকের অতি জরুরী একটা নথী। এটা রাখার অধিকার কেবলমাত্র ব্যক্তি নিজেরই। কোনো নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান যদি অন্যায়ভাবে পাসপোর্ট জব্দ করে, তাহলে উক্ত শ্রমিক চাইলে ওমানের যেকোনো ল-ফার্মের মাধ্যমে শ্রম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিতে পারবেন।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
