ওমানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক সহ তিন মাদক চোরাচালানকারীকে আটক করেছে দেশটির রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি)। আজ এক বিবৃতিতে ওমান পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা বিপুল পরিমাণ মাদক সহ নৌকায় করে ওমানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলো।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওমানের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কোস্ট গার্ড পুলিশ ৩ মাদক চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করে।এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়। আটককৃতরা কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি। তবে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে আজ বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতাসহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সাধারণ মুদি দোকানদার থেকে তিনটি ওভারসিজ এজেন্সির মালিক বনে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যে মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা টুটুল ও সহযোগী তৈয়বসহ ৮ জনকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র্যাব।
মধ্যপ্রাচ্যে মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতাসহ ৮জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাবটুটুলের এই প্রতারণার কাজে অন্যতম দালাল বা সহযোগী ছিলেন মো. তৈয়ব আলী (৪৫)। তিনিও চায়ের দোকানদার হলেও পরিচয় দিতেন স্বনামধন্য এয়ারলাইন্সের ম্যানেজার হিসেবে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তাদের সঙ্গে গ্রেফতার অন্যরা হলেন- গোপালগঞ্জের শাহ্ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন লিমন (৩৮), মেহেরপুরের মো. মারুফ হাসান (৩৭) ও লালটু ইসলাম (২৮), শরিয়তপুরের আলামিন হোসাইন (৩০), কুষ্টিয়ার আব্দল্লাহ আল মামুন (৫৪)।
ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, সম্প্রতি কয়েকজন নারী ভিকটিমের অভিভাবকের মধ্যপ্রাচ্যে মানবপাচার সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বাড্ডা থানার লিংকরোডে টুটুল ওভারসিজ, লিমন ওভারসিজ ও লয়াল ওভারসিজে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ৪ ভিকটিমকে উদ্ধার, ১০টি পাসপোর্ট, ৭টি ফাইল, ৪টি সিল, ১৭টি মোবাইল, ৫টি রেজিস্টার, ব্যাংকের চেক বই, ২টি কম্পিউটার, ৩টি লিফলেট এবং নগদ ১০ হাজার টাকাসহ ওই আট মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতারক টুটুল ও তৈয়বের নির্দেশে চক্রের সদস্যরা টার্গেট করে দেশের বেকার ও অসচ্ছল যুবক-যুবতীদের সৌদি আরব, জর্ডান ও লেবাননসহ বিভিন্ন দেশে লোভনীয় বেতনে কাজ দেওয়ার নাম করে প্রলুব্ধ করতো।
এরপর বিদেশ যেতে আগ্রহীদের ঢাকায় এনে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে চাকরিসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে ভুয়া চাকরির যোগদানপত্র দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তৈয়ব।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
