অর্থের অভাব প্রায়শই বিদেশ গমনেচ্ছুদের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে, অনেকেই জমি বন্ধক রাখা বা উচ্চ সুদে ঋণ নেওয়ার মতো কঠিন পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। তবে, প্রবাসী কর্মীদের সুবিধার্থে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিধা প্রদান করে থাকে, যা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।
যারা বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যেতে আগ্রহী, তারা এই ব্যাংক থেকে অভিবাসী ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। এই ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করা। আবেদনকারীকে ব্যাংকের সরবরাহ করা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি, আবেদনকারীর চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার সনদপত্র (পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত) জমা দিতে হবে। এছাড়াও, পাসপোর্ট ও ভিসার কপি এবং ম্যানপাওয়ার স্মার্ট কার্ডের অনুলিপি প্রয়োজন হবে। যদি থাকে তবে লেবার কন্ট্রাক্ট পেপারও দাখিল করতে হবে, যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয়।
ঋণের জন্য একজন জামিনদারের প্রয়োজন হবে। জামিনদারের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার সনদপত্রের অনুলিপি জমা দিতে হবে। জামিনদারকে ব্যাংকের তিনটি স্বাক্ষরিত চেকের পাতা জমা দিতে হবে এবং ঋণ গ্রহণের পূর্বে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি হিসাব খুলতে হবে।
নতুন ভিসার ক্ষেত্রে এই ঋণের সর্বোচ্চ সীমা তিন লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, যারা রি-এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করছেন, তারাও সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। নতুন ভিসার ক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ তিন বছর এবং রি-এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে এই মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে, প্রথম দুই মাস কোনো কিস্তি দিতে হবে না, এরপর থেকে মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। এই ঋণের উপর সরল সুদহার ধার্য করা হয়, যা ৯ শতাংশ। যথাযথ কাগজপত্র সহ আবেদন জমা দেওয়ার পর সাধারণত সাত কর্মদিবসের মধ্যেই ঋণ মঞ্জুর করা হয়। উল্লেখ্য, এই ঋণ সেবার জন্য কোনো অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য নয়।
আরও দেখুন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
