আগামী ১৭ অক্টোবর পর্দা উঠবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এই টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার জন্য আজ (রোববার) রাতে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে রাত পৌনে ১১টায় ওমানের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ দলের যাত্রার সময়।
মূলত ঘূর্ণিঝড় শাহীনের তাণ্ডবে অশান্ত ওমান। মাসকাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতার জারি করা হয়েছে। সেখানেই স্থানীয় সময় রাত ১টায় অবতরণ করার কথা আছে বাংলাদেশ দলের বহনকারী বিমানের। যদিও বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলছেন, শঙ্কা থাকলেও সেটি উড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আজ ওমানে যাবেন বাশার। দলের জন্য আলাদা কোন ম্যানেজার না থাকায় সব দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। ঢাকা পোস্টকে বাশার বললেন, ‘আমিও শুনেছি ঘূর্ণিঝড়ের কথা। তবে বোর্ড থেকে এখনো আমাদেরকে এ বিষয়েনেতিবাচক কিছু জানানো হয়নি। নির্ধারিত সময়েই ফ্লাইট ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে আমাদের। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তবে শঙ্কার কথা জানিয়েছে বোর্ডের আরেকটি সূত্র। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব কমে গেছে। বিমান চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। আজ রাতেই ওমানের উদ্দেশে রওয়ানা করবে দল। তবে পিছিয়ে যেতে পারে ফ্লাইটের সূচি। যদিও এখনো নিশ্চিত না কতক্ষণ পিছাতে পারে।’
সূচি অনুযায়ী আজ রাত সাড়ে ৮টায় বিমানবন্দরে রিপোর্টিং করার কথা আছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া দলের।
ঘূর্ণিঝড় শাহীনের প্রভাবে ওমানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সাগরের পানি ৫ থেকে ১২ মিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এই প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশটির দক্ষিণ উপকূলের রাজধানী শহর মাসকাটের।
এদিকে, ওমানে আজ ঘূর্ণিঝড় শাহীনের প্রভাবে দেশটির মাস্কাট প্রদেশের মাতরাহ এলাকায় সর্বোচ্চ ১৫১ মিলিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার ওমান আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে মাতরার পরে বৌশার এলাকায় ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ আল বাতিনাহ প্রদেশের নাখাল এলাকায় ৪৫ মিমি এবং আল দাখিলিয়াহ প্রদেশে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় শাহীনের প্রভাবে মাস্কাটের সব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মাস্কাট কর্তৃপক্ষ। রাস্তায় গাড়ি চালকদের যাতায়াতের অনুমতি নেই। যাদের জরুরী প্রয়োজনে মাস্কাট প্রবেশ করতে হবে, তাদেরকে মাস্কাট এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জরুরি ও মানবিক সহায়তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে ওমান সরকার। এছাড়াও মাস্কাটের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ আল বাতিনাহ প্রদেশেরও সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সকল নাগরিক ও প্রবাসীদের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ জনগণকে সাহায্য সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ওমানের একটি দাতব্য সংস্থা ওমান রয়্যাল এয়ার ফোর্সের সহযোগিতায় আশ্রয় কেন্দ্রে জরুরি ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ শুরু করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
