গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নে আরাফাত প্রামাণিকের (২০) হাত ধরে পালিয়েছে তার আপন মামি, যিনি এক সন্তানের জননী। তাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতি দিতে ওই নারী তার কোলের সন্তানকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার মহোদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের খাজা মিয়ার মেয়ে শাপলা খাতুনের সঙ্গে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত সফিয়াজ্জামানের ছেলে হারুন অর রশিদ শাহিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শাহিন কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। এই সুযোগে তার আপন ভাগ্নে, ধাপেরহাট ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রেজা প্রামাণিকের ছেলে এবং অনার্স পড়ুয়া আরাফাত প্রামাণিকের তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এই সূত্রে মামি শাপলা বেগমের সঙ্গে ভাগ্নে আরাফাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ৮ এপ্রিল শাপলা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগ্নে আরাফাতের হাত ধরে পালিয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী স্বামী হারুন অর রশিদ শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে শাপলা তার ঘরে থাকা জমা রাখা টাকা, স্বর্ণালংকার ও সন্তানকে নিয়ে আরাফাতের সঙ্গে পালিয়েছে। তিনি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অভিযুক্ত আরাফাত প্রামাণিক ও তার বাবা রেজা প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, তিনি লোকমুখে শুনেছেন যে শাপলা বেগম নামের এক গৃহবধূ তার ভাগ্নের সঙ্গে চলে গেছেন।
গাইবান্ধা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তার মক্কেল হারুন অর রশিদ তার স্ত্রী শাপলা বেগমকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। ওই নোটিশে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ও দুই লাখ বিশ হাজার টাকা মূল্যের গহনা নিয়ে পালানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও দেখুন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
