চক্রের সদস্য হিসেবে নয় শুধু সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল বলে আদালতের কাছে দাবি করেছেন বিশেষ ক্ষমতা আইনে হাজতে থাকা আলোচিত মডেল মেঘনা আলম। পুলিশের দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। শুনানির সময় মেঘনার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না, তিনি নিজেই আদালতে কথা বলেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ এম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁর কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক পর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে মেঘনা আলম বলেন, মামলায় বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও এম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণার কথা বলা হলেও অন্য কোনো বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই ছিল তার সম্পর্ক।
মেঘনা আরও বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। ঈসা তাঁর বাচ্চা নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ করলে তিনি ঈসার সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেন। এরপরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
