ওমানের ধোফারে ভয়ঙ্কর বিষধর ব্ল্যাক কোবরার সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির পরিবেশ কর্তৃপক্ষের স্নেক (snake) সার্ভে টিম, স্পেনের ইনস্টিটিউট অফ ইভল্যুশনারি বায়োলজি এবং নিজুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় ধোফারে প্রথমবারের মতো অত্যন্ত বিষাক্ত ব্ল্যাক কোবরার খোঁজ মেলে। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে ওমানে মোট সাপের প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২২টিতে।
তীব্র বিষধর সাপটি ডেজার্ট ব্ল্যাক কোব্রা বা মরুভূমির সাপ নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Walterinnesia aegyptia, মূলত এর বিস্তার গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই। এটি নিশাচর সাপ হিসেবেও পরিচিত। ঘুমন্ত টিকটিকি এবং ব্যাঙের খোঁজে দিনের বেলার চেয়ে রাতের শিকারে বেশি সক্রিয় হয় তারা। এটি নিচু ঝোপঝাড়, পাথরের ফাটলে, অথবা যেসব জায়গায় তার শিকার আশ্রয় নিতে পারে এমন স্থানে খাদ্য সংগ্রহ করে।
এর শরীর চকচকে কালো এবং কোনো ধরনের দাগ বা প্যাটার্ন নেই। পূর্ণবয়স্ক ব্ল্যাক কোব্রা সাধারণত ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর বিষ কোবরার মতোই বিষাক্ত হলেও পরিমাণ অনেক কম, তবে মরুভূমির কোবরার কামড়কে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।
গবেষণার অংশ হিসেবে চালানো জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ধোফারে পাওয়া নমুনাগুলোর মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ সৌদি আরব এবং মিশরে পাওয়া নমুনার সঙ্গে প্রায় অভিন্ন। এই মিলের ফলে দীর্ঘদিনের একটি শ্রেণিবিন্যাসগত বিতর্কের অবসান ঘটেছে। ধোফার অঞ্চলে এই প্রজাতির আবিষ্কার শুধু একটি বৈজ্ঞানিক সাফল্যই নয়, বরং ওমানের পরিবেশগত গুরুত্ব এবং বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
