ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদে প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো একটি মসজিদ ভেঙে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফরিদাবাদ পৌর কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযান সোমবার (১৫ এপ্রিল) পরিচালিত হয়। মসজিদটি ছিল বড়খাল গ্রামের ‘আকসা মসজিদ’, যা দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার মুসলমানদের নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
Haryana: On April 15 in #Badkhal Village, Faridabad, the Municipal Corporation demolished the 50-year-old #Mosque, labeling it illegal under an anti-encroachment drive, citing a Supreme Court order as the basis for the controversial action. pic.twitter.com/cUPbzymcRL
— MuslimMirror.com (@MuslimMirror) April 16, 2025
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, মসজিদটি বেআইনি স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়ম মেনেই উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের এবং বিষয়টি এখনো ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় মসজিদ ভাঙার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ও অন্যায্য।
মসজিদ উচ্ছেদ অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়, ছিলেন তিনজন সহকারী পুলিশ কমিশনারও। স্থানীয় বাসিন্দা মুশতাক জানান, “এই কাজটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। আমাদের কোনো সময় পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মসজিদের পাশের দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়ার পরই মসজিদে হামলা হয়।”
A 50-year-old mosque, Aqsa Masjid, whose case is pending in the Supreme Court, was arbitrarily demolished by the municipal corporation amidst heavy police presence, including three assistant commissioners of police, at Haryana’s Faridabad district, sparking public outcry among… pic.twitter.com/i52cEET7yT
— The Siasat Daily (@TheSiasatDaily) April 16, 2025
ফরিদাবাদ পৌর কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ নেওয়া হয়নি বরং দীর্ঘ সময় ধরেই অবৈধ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, “আদালতের নির্দেশ অনুসারেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
তবে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ও মানবাধিকারকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, যখন কোনো স্থাপনা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকে, তখন তা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে উস্কানিমূলক ও অমানবিক আচরণ হিসেবে দেখা হয়। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
