সকল জল্পনা আর কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাজে ফিরতে পারছেন- এমন আশা নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে আবারও হতাশ হলেন দুবাইগামী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিমানবন্দরে স্থাপিত আরটিপিআর ল্যাবে তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় আজও যেতে পারলেন না তারা।
অথচ প্রায় ১ মাসের কর্মযজ্ঞ শেষে আজ থেকে দুবাইগামীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হবে- এমন খবর জেনেই তারা এসেছিলেন বিমানবন্দরে। এই ভোগান্তির শেষ চান দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করতে বিদেশের মাটিতে ঘাম ঝরানো এ রেমিটেন্স যোদ্ধারা।
এদিকে, বিমানবন্দরে ল্যাব বসানোর কার্যক্রম শেষ হলেও দুবাই থেকে মেলেনি করোনা পরীক্ষা আরম্ভের সবুজ সংকেত। ঠিক কবে শেষ হবে দুবাইগামী প্রবাসীদের ভোগান্তি তা-ও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনা পরীক্ষা শেষ না করে দুবাই পাঠালে তাদের আবারও দেশে ফেরত আসতে হতে পারে। তাই অনুমোদনপত্র পেলেই পরীক্ষা শুরু হবে।
তবে কবে নাগাদ এই কার্যক্রম শুরু হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী। এদিকে, ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করাতে দুবাইগামী যাত্রীরা আজও বিমানবন্দরে এসে ভোগান্তির শিকার হন। এদিকে আজ দুপুরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, আরব আমিরাতের নির্দেশনা অনুসারে, বিমানবন্দরে করোনার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেটা গতকাল প্রস্তুত হয়েছে এবং আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। সঙ্গত কারণে আজ যাত্রীরা যেতে পারছে না।
মফিদুর রহমান বলেন, এর কারণ হলো, ছয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি) আমিরাতের সম্মতি থাকতে হবে। এটি আমরা দুই সপ্তাহ আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে এটা এখনও বিবেচনায় আছে। বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আজকেও এমিরেটসের একটি ফ্লাইট ছিল। আমি সেটি বাতিল করে দিয়েছি। তাদের একটু চাপে রাখার কারণে এটা করেছি। বিমানবন্দরে যে ছয় প্রতিষ্ঠানের ল্যাব আছে, এগুলোর যদি অনুমোদন আজ বিকেলের মধ্যে হয়, তাহলেই ফ্লাইট চলাচল হবে। বিশেষ ফ্লাইট আপাতত আর দিব না।’
মফিদুর রহমান আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক যে ল্যাবটি বসানো হয়েছে বিমানবন্দরে, আমরা চাচ্ছি, এটা যেন সবাই ব্যবহার করে যাত্রীরা যেতে পারেন।’ বিমানবন্দরে একটা ল্যাব চালু আছে, সেটির মাধ্যমে কেন পাঠানো হচ্ছে না—এই প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, এসওপিগুলো দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। আমিরাতের কমিটি যাচাই বাছাই করছে। আমাকে দুজন রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, এটা শেষ পর্যায়ে আছে। আমার ধারণা সবাই অনুমোদন পাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
