ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উন্নয়নে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য ‘উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগকারী সম্মেলন’ সফল করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের এই অঞ্চলটি ভৌগোলিক, কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে জয়শঙ্কর সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে তিনি রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানান, তারা যেন উত্তর-পূর্ব ভারতের সম্ভাবনা সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ সরকার ও ব্যবসায়ী মহলকে অবহিত করেন এবং এই অঞ্চলের সঙ্গে পরিচিত হন। তিনি জানান, ‘নেবারহুড ফার্স্ট’, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ এবং ‘বিমসটেক’-এর মতো কৌশলগত নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের পাঁচটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এই অঞ্চলের স্থলসীমান্ত রয়েছে, যা ভারতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করে। ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক ও কালাদান প্রকল্পসহ বেশ কিছু আঞ্চলিক উদ্যোগ এখান থেকেই শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জয়শঙ্কর তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (প্রাক্তন টুইটার)–এ বৈঠকের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটন সম্ভাবনা এবং মানবসম্পদের দক্ষতা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ তৈরি করছে।
তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আসন্ন বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও বাড়বে। উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশের একজন উপদেষ্টার মন্তব্যকে ঘিরে উত্তপ্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘স্থলবেষ্টিত’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
