সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সাথে বাংলাদেশি মডেল মেঘনা আলমেকে জড়িয়ে আলোচনা গড়িয়েছে অনেকদূর। সম্প্রতি মেঘনার বাবা বদরুল আলম গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, সৌদির সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তার মেয়ে। পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে বিয়েও করতে চান রাষ্ট্রদূত। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, কেবল সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতই নন, সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টায় জড়িত একটি চক্র। ইসা বিন ইউসেফ আলদুহাইনের কাছ থেকেও বিপুল অঙ্কের টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছে ওই চক্র। এ ঘটনায় প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী কাওয়াই প্রতিষ্ঠানের সিইও ও সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
দেওয়ান সমির বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করে। পরবর্তীতে সুকৌশলে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। আসামিরা বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আলদুহাইনকে টার্গেট করে গত বছরের জানুয়ারি মাস হতে এখন পর্যন্ত সখ্যতা তৈরির চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে ফাঁদে ফেলে পাঁচ মিলিয়ন ডলারও দাবি করা হয়। এ ঘটনার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানাজানি হওয়ায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি হুমকির সম্মুখীন হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মডেল মেঘনা আলমকে গত ১০ এপ্রিল আটক করে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
