বিভিন্ন উৎসব-পার্বণ ও ছুটির সময় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে দেশে ফেরেন অনেক প্রবাসী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি অসাধু চক্র স্বল্প ও নিম্ন আয়ের প্রবাসীদের টার্গেট করছে। অর্থের বিনিময়ে তাদের লাগেজ ব্যবহার করে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ কাস্টমস নিষিদ্ধ পণ্য দেশে আনা হচ্ছে। কখনও বিমানের টিকিটের মূল্য মওকুফ করার প্রলোভন, কখনও ১০-১৫ হাজার টাকা দিয়ে এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রবাসীদের।
চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকে শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে আটক হচ্ছেন এবং বড় ধরনের শাস্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। সম্প্রতি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহফেরত সাঈদ আহমদ স্বর্ণসহ ধরা পড়েন। প্রলোভনে পড়ে তিনি অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া চার্জার লাইট, ফ্যান ও থাই গ্লাসের লক বহন করেছিলেন। পরে এসবের ভেতর স্বর্ণ পাওয়া যায় এবং তিনি কারাগারে বন্দি হন।
এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে দুবাই ফেরত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বদিউল আলমও বিপদে পড়েন। অপরিচিত এক প্রবাসীর স্ত্রীর দেওয়া খাবারের বাক্স বহন করতে গিয়ে দুবাই বিমানবন্দরে তার লাগেজে গাঁজা পাওয়া যায়। এর ফলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরিবার দাবি করছে, তিনি সরল বিশ্বাসে বাক্সটি বহন করেছিলেন এবং প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনগুলো ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলো এ ধরনের প্রতারণা রোধে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে আরব আমিরাত থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী ফ্লাইটের যাত্রীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের অপরিচিত ব্যক্তির মালামাল বহনে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
দুবাই কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, “নিষিদ্ধ পণ্য বহন করলে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়। প্রবাসীদের উচিত অপরিচিত কারও দেওয়া মালপত্র যাচাই ছাড়া বহন না করা।” বিমান দুবাইয়ের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা বলেন, “ঝামেলা এড়াতে মালামাল বহনের আগে তা ভালোভাবে যাচাই করা প্রয়োজন।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
