ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে ফিরে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই বোনের বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত, সম্পর্কে নিহত মহিউদ্দিনের দুলাভাই শেখ ফরিদ ওরফে শরীফকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার, চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলী এলাকা থেকে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, নিহত মহিউদ্দিনের বোনের সাথে আসামি শেখ ফরিদের চার বছর আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।
পারিবারিক শান্তি বজায় রাখার জন্য মহিউদ্দিন তার দুলাভাই ফরিদকে ১৫ লক্ষ টাকা ধার দেন। সম্প্রতি মহিউদ্দিন দেশে ফিরে এসে সেই টাকা ফেরত চাইলে, ফরিদ ও তার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করে।
এর জের ধরে গত ২১শে ফেব্রুয়ারি, রাত সাড়ে নয়টার দিকে মহিউদ্দিন তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পাওনা ১৫ লক্ষ টাকা ফেরত চান। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়।
একপর্যায়ে, ফরিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা মহিউদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর, নিহত মহিউদ্দিনের বোন বাদী হয়ে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন শেখ ফরিদ, যিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। অবশেষে র্যাবের চৌকস দল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এবং পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
