ওমানের বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বিভ্রান্তিকর গুজবের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে। এই গুজবে দাবি করা হয়েছিল যে, ওমানে দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য স্বামীকে অবশ্যই তার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কাউন্সিল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, এই নিয়মটি ওমানের জাতীয় আইন নয়, বরং এটি কিছু বিদেশি দূতাবাসের নিজস্ব বিধি-নিষেধ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “কিছু বিদেশি দূতাবাস তাদের নাগরিকদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য করে, যখন তারা ওমানের নোটারি পাবলিক বিভাগে বিবাহের চুক্তি নথিভুক্ত করতে যায়। এটি সম্পূর্ণরূপে দূতাবাসের নিজস্ব নিয়ম, ওমানের আইনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।” অর্থাৎ, ওমানের আইনে দ্বিতীয় বিবাহ করতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
অন্যদিকে, ওমান সরকার সামাজিক সংস্কারের পথে আরও একধাপ এগিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অনুমতির জটিলতা দূর করে বিদেশি নাগরিকদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে এখন অনেক সহজ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক আল সাইদের জারী করা একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এই ডিক্রির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের সেই আইনটি বাতিল করা হয়, যেখানে ওমানি নাগরিকদের বিদেশি নাগরিকদের বিয়ে করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
রাজকীয় ডিক্রি নম্বর ২৩/২০২৩ অনুসারে, এখন থেকে যেকোনো বিবাহ শরিয়া আইন, দেশের জনশৃঙ্খলা এবং বিদেশি স্ত্রী অথবা স্বামী সম্পর্কিত সরকারি বিধি-নিষেধ মেনেই সম্পন্ন করা যাবে। পূর্বে যে বিবাহগুলি অবৈধ বলে বিবেচিত হতো, নতুন এই আইনের ফলে সেগুলির বৈধতা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হলো।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওমানের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩.৯ মিলিয়ন, যেখানে ওমানি নাগরিকদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের সামান্য বেশি। এই নতুন পদক্ষেপগুলি ওমানের সমাজ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
