আসন্ন ২০২৫ সালের ১লা জুন থেকে ওমানের ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এই দিন থেকে ডিজিটাল ট্যাক্স স্ট্যাম্পবিহীন কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস এবং বিশেষভাবে চিহ্নিত অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর আমদানি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিষ্টি পানীয় ব্যতীত অন্যান্য আবগারিযুক্ত পণ্যও এই নতুন বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত থাকবে।
এই পদক্ষেপটি ওমানের সুসংহত আবগারি কর কাঠামোর তৃতীয় পর্যায়, যা ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রথম প্রবর্তিত হয়েছিল। পূর্বের দুটি ধাপের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার অধীনে মূলত কোমল পানীয়, শক্তি বর্ধক পানীয়, সিগারেট এবং তামাক জাতীয় দ্রব্যের মতো পণ্য আবগারি শুল্কের আওতাধীন।
ডিজিটাল ট্যাক্স স্ট্যাম্প ব্যবস্থাটি কর্তৃপক্ষকে উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে একেবারে শেষ পর্যন্ত, অর্থাৎ বিক্রয় পর্যন্ত প্রতিটি আবগারি পণ্যের চালানকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নজরে রাখতে সাহায্য করবে।
এর মাধ্যমে, একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে, তেমনি অন্যদিকে বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্যের বিস্তারও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ওমানের ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের প্রধান সাঈদ বিন আহমেদ আল শানফারী এই নতুন পদক্ষেপের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “এই অত্যাধুনিক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রাজস্ব সংগ্রহ এবং কর ফাঁকি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি ভূমিকা রাখবে। একই সাথে, এটি বাণিজ্যিক প্রতারণা এবং ভেজাল পণ্যের সরবরাহ থেকে সাধারণ ভোক্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।”
উল্লেখ্য, ওমানে আবগারি করের বর্তমান কাঠামোটি ২০১৯ সালের ১৫ই জুন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। বর্তমানে বলবৎ থাকা করের হারগুলো নিম্নরূপ:
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য, শুকরের মাংস, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং এনার্জি ড্রিংকসের উপর ১০০ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে।
চিনিযুক্ত পানীয় এবং কার্বোনেটেড ড্রিংকসের উপর ৫০ শতাংশ হারে কর আরোপিত আছে।
এই নতুন নিয়ম ওমানের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে, যা একদিকে রাজস্ব বৃদ্ধি করবে, অন্যদিকে ভোক্তাদের জন্য উন্নত মানের পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
