ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে এবং প্রবাসীদের গাড়িবহরে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও প্রবাসী যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক।
ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাস ফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাসে এই মহাসড়কজুড়ে অর্ধশতাধিক ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীরাই ডাকাতির শিকার হচ্ছেন বেশি।
এই সড়কে চলাচলকারী কুমিল্লা অঞ্চলের হালকা যানবাহনের চালকেরা ডাকাতের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে ভার্চুয়াল গ্রুপ খুলেছেন।
যখনই তাদের কোনো সহকর্মী ডাকাতের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, তখনই তাঁরা ভার্চুয়াল গ্রুপে শেয়ার করে অন্যদের জানান দিচ্ছেন।
তাঁদের তথ্যও বলছে, গত ৬ মাসে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পর্যন্ত মহাসড়কে অর্ধশতাধিক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে ঝামেলা এড়াতে অনেকে মামলায় যাচ্ছেন না।
তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ডাকাতদের মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন প্রবাসীরা। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকটি এলাকায় ডাকাতিগুলো ঘটছে।
ডাকাতরা প্রবাসীর গাড়ি লক্ষ্যবস্তু করে একধরনের লাইট ব্যবহার করে পেছন থেকে গাড়িতে থাকা মালপত্র দেখে নেয়। পরে পিছু নিয়ে সুযোগ বুঝে নির্জন স্থানে গিয়ে ডাকাতি করে।
গত এক সপ্তাহে কুয়েত প্রবাসী এবং এক মালয়েশিয়া প্রবাসী এই সড়কে ডাকাতির কবলে পড়লে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
