ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত, যিনি ২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ ছবির মাধ্যমে রূপালী পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, সম্প্রতি এক টকশোতে তার জীবনের এক তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে একজন দন্ত্য চিকিৎসক হিসেবেও পরিচিত মিষ্টি জানান, মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় তাকে এক শিক্ষকের দ্বারা চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল।
টকশোতে মিষ্টি জানান, “আমি যখন মেডিকেলে প্রথম বর্ষে পড়তাম, তখন আমি খুব সুন্দর ছিলাম এবং জিন্স, টাউজারসহ ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতাম। আমার শিক্ষকরা ভাবতেন আমি হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এসেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হতো আমি মডেলিং করতে এসেছি কিনা।”
তবে এখানেই শেষ নয়, মিষ্টি জানান, এই পরিস্থিতিতে তার এক শিক্ষক সীমা অতিক্রম করে এমন কাজ করেছিলেন যা আজও তাকে তাড়া করে ফেরে। তিনি বলেন, “একদিন আমার এক শিক্ষক আমাকে এবং আমার এক বান্ধবীকে তার রুমে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তিনি আমাদের প্রভা আপুর ওই ভিডিও দেখান।” ঘটনাটি তার জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল বলে জানান মিষ্টি।
মিষ্টি ক্ষোভের সাথে বলেন, “ভাবুন, যিনি এখনো শিক্ষকতা করছেন এবং বারডেমের মতো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, তিনি এমন কাজ করতে পারেন!”
অনুষ্ঠানে সঞ্চালক মিষ্টিকে প্রশ্ন করেন, শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা উচিত কিনা? উত্তরে মিষ্টি জানান, তিনি সেই শিক্ষককে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি তৎক্ষণাৎ কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু প্রিন্সিপালের কাছ থেকে তিনি অপ্রত্যাশিত উত্তর পান। মিষ্টি বলেন, “প্রিন্সিপাল আমার অভিযোগ শুনে বলেন, ‘এমন ফালতু জিনিস নিয়ে আমার কাছে কেন এসেছো?’”
মিষ্টি জান্নাতের এই ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দায়িত্ব ও সংবেদনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত এবং নিন্দনীয় বলে মনে করছেন অনেকে। মিষ্টির এই সাহসী পদক্ষেপ এবং ঘটনা প্রকাশ্যে আনার জন্য অনেকেই তার প্রশংসা করছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
