ওমানের জাতীয় পরিসংখ্যান ও তথ্য কেন্দ্রের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, মাস্কাট গভর্নরেটে স্থানীয় ওমানিদের চেয়ে বিদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই পরিসংখ্যান ওমানের জনসংখ্যা কাঠামোয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ওমানের জনসংখ্যা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭২ জনে পৌঁছেছে। এই জনসংখ্যার মধ্যে ৫৬.৬ শতাংশ ওমানি নাগরিক এবং ৪৩.৩ শতাংশ প্রবাসী। বর্তমানে ওমানে বসবাসকারী প্রবাসীর সংখ্যা ২২ লক্ষ ৮৩ হাজার ২৭৯ জন, এবং এদের মধ্যে বাংলাদেশিরাই সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি।
তবে, মাস্কাট গভর্নরেটের চিত্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০২৪ সালে মাস্কাটে ৩ শতাংশ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও, এখানে স্থানীয় ওমানিদের তুলনায় প্রবাসীদের সংখ্যা অনেক বেশি।
মাস্কাটে বসবাসকারী ওমানিদের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯২ জন, যেখানে প্রবাসীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৫৭ জন। এর অর্থ, মাস্কাটে বসবাস করা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৬১ জনই প্রবাসী।
মাস্কাটের পরেই উত্তর বাতিনায় প্রবাসীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বসবাস দেখা যায়, যেখানে ৩ লক্ষ ২৮ হাজার প্রবাসী রয়েছেন। ধোফার গভর্নরেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৯০ হাজার প্রবাসীর বসবাস বিদ্যমান।
পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০২৪ সালে বুরাইমিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে, মুসান্দামের জনসংখ্যা ২.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিসংখ্যানে ওমানে প্রবাসীদের মধ্যে শহরকেন্দ্রিক বসবাসের আগ্রহ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। ডেটা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রবাসীরা প্রধানত মাস্কাট এবং অন্যান্য শহরমুখী হতে বেশি আগ্রহী, যা কর্মসংস্থান এবং উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগের কারণে হতে পারে।
এই তথ্য ওমানের জনসংখ্যা এবং সমাজ কাঠামো নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা কিভাবে পরিবর্তিত হয়, তা দেখার জন্য জাতীয় পরিসংখ্যান ও তথ্য কেন্দ্র নিয়মিত তথ্য সরবরাহ করে যাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
