২০২৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসন হারিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ রাজ্যগুলোতে দলের ব্যাপক ভরাডুবি ঘটেছে, যা বিজেপির জন্য একটি বড় রাজনৈতিক ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ফলাফলকে জনগণের রায় হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং দলের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বিজেপির এই পরাজয় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অঞ্চলে দলের জনপ্রিয়তা হ্রাসের পেছনে স্থানীয় ইস্যু, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ধীরগতি এবং আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এই ফলাফলকে তাদের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে। তারা আশা করছে, এই জয়ের মাধ্যমে তারা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আরও শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। বিরোধী জোটের নেতারা এই ফলাফলকে ‘গণতন্ত্রের জয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনের এই ফলাফল ভারতের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক ভারসাম্য পরিবর্তনের মাধ্যমে আঞ্চলিক দলগুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও, বিজেপির এই পরাজয় দলটির অভ্যন্তরীণ কৌশলগত পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই নির্বাচন ভারতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে আঞ্চলিক ইস্যু এবং স্থানীয় দলগুলোর প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে এই প্রবণতা কীভাবে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে রূপ দেয়, তা নিয়ে এখন থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
