ছুটিতে দেশে এসে ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা দন্ধে আছেন প্রবাসীরা। কোনো কোনো প্রবাসী বিদেশ থেকে এক ডোজ টিকা নিয়ে দেশে এসে দ্বিতীয় ডোজ কীভাবে নিবেন, এ নিয়ে চরম দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন। আবার অনেকে ভ্যাকসিনের ২ ডোজ নিয়েও পুনরায় গন্তব্য দেশে ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বিশেষকরে ওমান প্রবাসীরা।
এই মুহূর্তে ওমানের ফ্লাইট চালু না হলেও শীঘ্রই ওমানের ফ্লাইট চালু হবে এমন আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রবাসীরা ওমান যেতে কোন ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন এ নিয়ে চরম দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন সবাই। ওমান সরকার থেকে এখনো তাদের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন কোন ভ্যাকসিন অনুমোদিত, এর কোনো ঘোষণা দেয়নি। যে কারনে দেশে আটকেপড়া প্রবাসীরা এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন নাকি ওমান সরকারের পক্ষথেকে ঘোষণা দেওয়ার পর গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে এখনো বাংলাদেশ সরকার থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুনঃ
যে শর্তে এনওসি সুবিধা পাবেন ওমান প্রবাসীরা
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
ওমান ও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের তালিকা
তবে এই মুহূর্তে আসার খবর হচ্ছে, ওমানে যেসব অবৈধ প্রবাসী রয়েছেন, অর্থাৎ যাদের ভিসা পতাকা নেই, তারা চাইলে এই মুহূর্তে ওমান থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। ওমান সরকার দেশটির নাগরিক এবং প্রবাসীদের পাশাপাশি ভিসাহীন অবৈধ প্রবাসীদের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিন সহজীকরন করেছে।
মঙ্গলবার (১০-আগস্ট) ওমানের সোহরাওয়ার্দীর জুমা আল হাবসি পলি ক্লিনিক থেকে মিঠু নামে এক বাংলাদেশী প্রবাসী ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। যদিও তার ওমানে বসবাসের কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিলোনা। মুঠোফোনে তিনি প্রবাস টাইমকে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র তার পুরনো পতাকা এবং পাসপোর্ট কপি দিয়েই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। প্রথম ডোজের জন্য তাকে ১১ ওমানি রিয়াল ফি দিতে হয়েছে। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় আড়াই হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ।
এদিকে বাংলাদেশে সময়মত সবাই দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ইতোমধ্যে যারা যে কোম্পানির প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিশ্চিত করেই প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা বলেন তিনি। তার মতে, আমাদের হাতে ফাইজার, মডার্না এবং সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। টিকা নিয়ে কোনো আশঙ্কার অবকাশ নেই। সুতরাং, কোনো ধরনের বিভ্রান্তি বা অপপ্রচারে কান দেবেন না।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ফাইজার ও মডার্নার প্রথম ডোজের টিকা যারা যে কেন্দ্র থেকে গ্রহণ করেছেন তারা চার সপ্তাহ পরে একই কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, সারাদেশে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না এবং সিনোফার্মের মিলিয়ে সর্বমোট এক কোটি ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৬৩ জনকে। ফাইজারের টিকায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার ২৫৫ জনকে। সিনোফার্মের দেওয়া হয়েছে ৬৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৮৩ জনকে এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হয়েছে ২০ লাখ ৭১ হাজার ৭৪৭ জনকে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
