বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২,৮০০ ডলার ছুঁয়েছে, যা স্বর্ণের দামের ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহ শেষে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২,৭৯৭ ডলার। তবে লেনদেনের একপর্যায়ে এটি ২,৮১৫ ডলার পর্যন্ত উঠে যায়। এর আগে কখনো স্বর্ণের দাম এতো উচ্চতায় পৌঁছায়নি।
বিশ্ববাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২,৭৭০ ডলার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এটি সাময়িকভাবে ২,৭৩১ ডলারে নেমে এলেও পরে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। ২৯ জানুয়ারি প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে ২,৭৬০ ডলার হয়, যা পরবর্তী দিনে আরও বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ববাজারের প্রভাব দেশের বাজারেও
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা ধীরে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ২,৮০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে, তা অনেক আগেই ধারণা করা হয়েছিল। অবশেষে সেটিই ঘটল। বিশ্ববাজারের এই দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
দেশের বাজারে নতুন স্বর্ণের দাম
২৯ জানুয়ারি বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি থেকে নতুন স্বর্ণের দাম কার্যকর হয়েছে।
২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ: ১,৪২,৭৯১ টাকা (১,৩৬৫ টাকা বৃদ্ধি)
২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ: ১,৩৬,৩০৬ টাকা (১,৩০৭ টাকা বৃদ্ধি)
১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ: ১,১৬,৮২৭ টাকা (১,১০৮ টাকা বৃদ্ধি)
সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ: ৯৬,০১৮ টাকা (৯৫৬ টাকা বৃদ্ধি)
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম আরও বাড়লে দেশের বাজারেও আবার মূল্য সমন্বয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বর্ণের উচ্চমূল্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বাজারকে আরও চাঙা করতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
