সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক চৌধুরী বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক রেমিট্যান্স প্রেরণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কমার্শিয়াল ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন (সিআইপি) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। সম্প্রতি আজমানের মোমেনিন ওমেন্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ওবায়দুল হক চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নে। তাঁর বাবা মরহুম আবদুর রহিম চৌধুরী এবং মা জারিয়া বেগম।
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২৪ সালের জন্য সিআইপি-এনআরবি ক্যাটাগরিতে এই স্বীকৃতি লাভ করেন ওবায়দুল হক চৌধুরী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, দুবাই কন্সূলেট জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান এবং আজমানের শাসকের ছেলে শেখ মোহাম্মদ সাঈদ রশিদ হুমাইদ।
২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঠিকাদারি ব্যবসার মাধ্যমে তাঁর পেশাগত জীবনের যাত্রা শুরু করেন ওবায়দুল হক চৌধুরী। স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে তিনি একাধিক লাইসেন্সধারী কন্ট্রাকশন কোম্পানি এবং গাড়ির ওয়ার্কশপের মালিক। তাঁর কোম্পানিতে বর্তমানে একশোরও বেশি কর্মচারী কাজ করছেন।
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ও প্লাম্বিং কর্মী আমিরাতে নিয়ে গিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশি শ্রমশক্তি আন্তর্জাতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ওবায়দুল হক চৌধুরী বৈধ পথে সর্বাধিক রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি জানান, আমিরাতের ভিসা বন্ধ থাকার কারণে নতুন কর্মীদের সুযোগ করে দিতে পারছেন না, যা তাঁর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তবুও তিনি এই প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন স্বীকৃতি তাঁর মতো প্রবাসীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
