বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের মানচিত্র আঁকা অসম্ভব—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত। আপনি বাংলাদেশের মানচিত্র ছাড়া ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত প্রায় পুরোটাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি শিক্ষা। তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন না তোলার জন্য বিশ্ব দায়ী।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কেউই শেখ হাসিনার অপরাধ নিয়ে কথা বলেনি, যা একটি ভালো বিশ্ব ব্যবস্থার উদাহরণ হতে পারে না।”
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা প্রবৃদ্ধির জন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছি, এ কথা পুরোটাই মিথ্যা।” তিনি অর্থনীতির অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস জানান, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী নন। তবে ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেন।
ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “ভারত শুধু শেখ হাসিনাকেই সমর্থন দিয়ে এসেছে, যা দুই দেশের তিক্ততার একটি বড় কারণ।”
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান। তাঁর পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ছাত্র নেতাদের সুপারিশে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
