গত বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দেশের চলমান রাজনীতিকে আবারও সরগরম করে তুলেছেন। পোস্টে তিনি সেনাশাসনের সম্ভাবনা এবং ১/১১-এর পুনরাবৃত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
নাহিদ ইসলামের পোস্টে উল্লেখ ছিল, “আমরা বারবার সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।” তবে হঠাৎ সেনাশাসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন—এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের এবং সাধারণ মানুষের মনে। পোস্টে তিনি দাবি করেন, “বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব উঠেছিল।”
এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, এটি মূলত আরেকটি ১/১১ সরকারের ইঙ্গিত বহন করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “১/১১ বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সাম্প্রতিক মন্তব্যও পরিস্থিতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে এখন জিয়াবাদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।” তার বক্তব্যে স্পষ্ট, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সমন্বয়কদের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে।
নাহিদ ইসলামের পোস্টে সেনাশাসন এবং জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ তোলা এবং সেই সঙ্গে বিএনপির অবস্থান নিয়ে কঠোর সমালোচনা নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, “বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলছে, কিন্তু অভ্যুত্থানের পরিস্থিতি তৈরি হলে ছাত্র-জনতাই বড় ফ্যাক্টর হবে।”
রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে সেনাশাসন, ১/১১-এর পুনরাবৃত্তি, এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে এমন বক্তব্য সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্য এবং পোস্টে উত্থাপিত বিষয়গুলো এখন সামাজিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক আলোচনায় তুমুলভাবে চর্চিত। দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে যাচ্ছে, এ প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের মধ্যে গভীরভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
